কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, আগামী দিনে মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নেবে যন্ত্র। সম্প্রতি ভাইরাল ‘জিবলি আর্ট’-এর সূত্র ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-বিরোধী আন্দোলন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। এরই মাঝে, সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সমর্থন করলেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরন। বর্ষীয়ান পরিচালকের বক্তব্যকে ঘিরে শিল্পীমহলে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
চলতি বছরেই মুক্তি পাবে জেমস-এর প্রতীক্ষিত ছবি ‘অবতার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। তার আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রসঙ্গে পরিচালকের মন্তব্যে অনুরাগীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেমস জানিয়েছেন, খরচ কমাতে ছবির তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিতে ইচ্ছুক। জেমস বলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কিছুটা হলেও ইতিবাচক ভাবনা বেড়েছে। বিষয়টাকে বুঝতে হবে। আমি নিজে ছবিতে ভিএফএক্স ব্যবহার করতে চাই।’’ জেমস-এর মতে, ‘অবতার’ বা ‘ডিউন’-এর মতো বড় বাজেটের ছবির খরচ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন:
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে শিল্পীদের কাজ হারানোর বিষয়টির উপরেও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। জেমন বলেন, ‘‘অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই নয়, বরং বুঝতে হবে এর ফলে কম সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। অন্য দিকে শিল্পীরাও নিজেদের অন্য কাজে নিযুক্ত করত পারবেন।’’
২০২৩ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরুদ্ধে মতামত ব্যক্ত করেছিলেন জেমস। সেই সময় পরিচালক তাঁর ‘টারমিনেটর’ ছবিটির উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, “আমি আপনাদের আগেই সতর্ক করেছিলাম। ২০ বছর অপেক্ষা করা যাক। তার পর যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেরা চিত্রনাট্যের অস্কার পায়, তা হলে ভাবতে হবে!’’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রসঙ্গে জেমসের দর্শন বদলে গিয়েছে কি না, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা। অনেকেই পরিচালককের সমালোচনা করেছেন। শিল্পীদের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জেমস ছবি তৈরি করলে, সেই ছবি দেখবেন না বলেও জানিয়েছেন অনুরাগীদের একাংশ।