প্রতীকী চিত্র।
গত দু’বছরে অতিমারির কোপে বিপর্যস্ত বিনোদন দুনিয়া। কাজ বন্ধের কারণে অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত ছবির বাণিজ্য। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিনোদন জগৎ। তারই ফলাফল হিসেবে রবিবার পৃথক ভাবে একটি বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে আইনক্স এবং পিভিআর। লোকসান ঠেকাতে এক হয়ে গাঁটছড়া বাঁধছে দুই সংস্থা।
ছায়াছবির জগতে প্রধান দুই স্তম্ভ এক হওয়ায় আগামী দিনে সারা দেশে মোট স্ক্রিনের সংখ্যা দাঁড়াবে দেড় হাজার। নতুন সংস্থার নাম পিভিআর আইনক্স লিমিটেড। পিভিআর-এর অজয় বিজলি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে আসীন হবেন। সঞ্জীব কুমার হবেন কার্যনির্বাহী পরিচালক। আইনক্সের পবন কুমার জৈন বোর্ডের নন-এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং সিদ্ধার্থ জৈন নন-এগজিকিউটিভ, নন-ইনডিপেনডেন্ট পরিচালক। খবর, কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া(সিসিআই)-র থেকে এখনও এই মিলমিশের অনুমোদন মেলেনি।সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হতে সময় লাগবে ৬-৮ মাস।
বিষয়টি বিনোদন দুনিয়ার পক্ষে কতটা ইতিবাচক? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল মাল্টিপ্লেক্সের আঞ্চলিক অধিকর্তা (পূর্ব) অমিতাভ গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে। অমিতাভের দাবি, অতিমারি যতটা ক্ষতি করেছে, এই সিদ্ধান্ত সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, এই মুহূর্তে ৭৩টি শহরে ১৮১টি মাল্টিপ্লেক্সে ৮৭১টি স্ক্রিন রয়েছে পিভিআর-এর। আইনক্স ৭২টি শহরে ১৬০টি মাল্টিপ্লেক্সে ৬৭৫টি স্ক্রিন চালায়। দুটো সংস্থা এক হলে ১০৯টি শহরে ৩৪১টি মাল্টিপ্লেক্সে মোট স্ক্রিনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১,৫৪৬টি। এ ছাড়া, সিঙ্গল স্ক্রিন যেমন ছিল তেমনই থাকবে।
অমিতাভের আরও বক্তব্য, ‘‘যা হচ্ছে, তা ইতিবাচক হতে চলেছে বিনোদন দুনিয়ার ক্ষেত্রে। দুটো শক্তিশালী সংস্থা জোট বাঁধলে আখেরে লাভ ছায়াছবির জগতের। পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ক্রমশ হলবিমুখ করে তুলছে দর্শকদের। দু’টি সংস্থা একসঙ্গে সেই প্রবণতা ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবে। দর্শকদের বিনোদন এবং স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও বেশি করে নজর রাখবে।’’
বাংলা ছবির দুনিয়ায় কী ছাপ পড়তে চলেছে এর ফলে? এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী, অজন্তা প্রেক্ষাগৃহের মালিক শতদীপ সাহা এবং প্রাচী প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার বিদিশা বসুর কাছে। কী বলছেন তাঁরা? তিন জনেরই বক্তব্য, নতুন কিছু মানেই ইতিবাচক পদক্ষেপ। এমনটাই ভাবতে চাইছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি যত ক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে তত ক্ষণ কিছুই বলা যাচ্ছে না। শতদীপের কথায়, ‘‘নতুন সংস্থা যদি বাংলা ছবি প্রদর্শনের জন্য ভাল সময় দেয়, তা হলেই আমাদের উপকার।’’ যদিও তাঁর মতে, এর বেশি প্রভাব পড়বে মুম্বইয়ে। অতনুর মতে, ইতিবাচক ভাবনা নিয়েই দু’টি সংস্থা এক হয়ে নতুন সংস্থা তৈরি হতে চলেছে। বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় যেন তার প্রভাব পড়ে। তবে বিদিশার দাবি, এতে সিঙ্গল স্ক্রিনের হলমালিকদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না। তাঁদের নিজের জোরেই আগামী দিনের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy