উৎসবে মাতলেন টেলি তারকারা। —নিজস্ব চিত্র।
বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে টেলি-পাড়াতেও।মাসের দ্বিতীয় রবিবার টেলি-পাড়ার ছুটি। সঙ্গে আজকের বসন্ত উৎসব। কেউ দু’দিন, কেউ তিন দিনের ছুটিতে শহর ছেড়ে বেরিয়েও পড়েছেন। কেউ বা রং মেখে নিয়েছেন উৎসবের আগেই। আবার অনেকে শহরে থেকেই মেতেছেন উৎসবে।
কেমন করে আপনার প্রিয় তারকারা পালন করলেন বসন্ত উৎসব? দেখে নিন এক ঝলকে।
‘রানী রাসমণি’-র রামকৃষ্ণ সৌরভ সাহা রবিবার পুরুলিয়ার বরন্তি পাহাড়ে ছুটি কাটাতে বেরিয়ে পড়েছেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা সাহা মুখোপাধ্যায় এবং পুত্র, ধারাবাহিকের পরিচালক রূপক দে এবং আরও অনেকে। ‘নক্সিকাঁথা’-র নায়ক সুমন দে বন্ধুদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কোলাঘাটে। প্রতি বছর এখানেই তিনি বসন্ত উৎসব পালন করেন চুটিয়ে।
দোলে মাতলেন ভাস্বর।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: করোনার রংবাজি উড়িয়েই দোলে মাতলেন ব্রাত্য-দিলীপ-মিমি-নচিরা
কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘ময়ূরপঙ্খী’ ধারাবাহিকের নায়িকা সোহিনী গুহ রায় আজ সকাল থেকে শহরেই ঘুরছেন। সঙ্গে ‘আরবান মঙ্কজ’ গানের ব্যান্ডের সদস্যরা। গান সহযোগে রং মেখে হোলি উদযাপনের পর সোজা দিদির বাড়ি। সেখানে আবার মজা আর খাওয়াদাওয়া।
দর্শকদের প্রিয় ‘ইরাবতী’ মনামি ঘোষ ক’দিন আগেই শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘বেলাশুরু’ ফিল্মের সেটে একচোট হোলি খেলে নিয়েছেন। আসলে সেটা ছিল হোলি খেলারই এক দৃশ্যের শুট। সে ছবি পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাদা টু পিস আর হলুদ ওড়নায় সেজে মন জয় করেছেন ভক্তদের। আজও তিনি মেতেছেন রং খেলায়।
‘নেতাজি’ ধারাবাহিকে নেতাজির মা প্রভাবতী দেবীর ভূমিকায় বাসবদত্তাও কম যান না। নিজেদের শতবর্ষ পুরনো মধ্য কলকাতার বাড়ির ছাদে গোলাপি টি শার্টে একেবারে বাড়ির মেয়ের পোশাকেই বন্ধুদের সঙ্গে হোলি খেলেছেন।সবাই জানে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একেবারেই বেশি সাজগোজ পছন্দ করেন না। তবু হোলির রঙে সেজে উঠেছেন তিনিও। নেতাজির মা রং খেললে নেতাজিই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? গল্পের নেতাজি অভিষেক বসুও বাড়ির ছাদে নিজের বোন দিয়া এবং বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছেন হোলি খেলায়।
দোল খেললেন নেতাজিও।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: টলি পাড়ায় কোন কোন সেলেব দোল উৎসবে সামিল হলেন, আর কারা হলেন না?
এ বছর করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেকেই রঙের উৎসবে মেতে ওঠেননি। যেমন‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াসা এবং তাঁর স্বামী সুবান রায় যিনি ‘একযেছিলখোকা’ধারাবাহিকে শরিফ নামের এক ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করছেন, দু’জনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবছর হোলি খেলবেন না। যদি ছবি তোলার জন্য রং মাখতেই হয় তো মুখে সামান্য রং লাগিয়ে ছবি তুলবেন, জানালেন তাঁরা।
বয়ফ্রেন্ড অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রং খেলেছেন অভিনেত্রী মানালি দে। রং না খেললেও স্বামী দ্বৈপায়ন এবং ছেলেকে নিয়ে প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল দে-ও।
‘নক্সিকাঁথা’-র নায়ক সুমন দে বন্ধুদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কোলাঘাটে।
বন্ধুদের নিয়ে কোলাঘাট গিয়েছেন সুমন। —নিজস্ব চিত্র।
‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের নায়িকা জবা ওরফে পল্লবী শর্মা কোনও বছরই দোল খেলেন না। এবছরও খেলছেন না। ‘এখানে আকাশ নীল’-এর নায়ক ‘উজান’, শন বন্দ্যোপাধ্যায়ও রং খেলছেন না। আবার ‘বাঘ বন্দি খেলা’ ধারাবাহিকের নায়িকা ঈশানী দাস জ্বরে কাবু। তাই ইচ্ছে থাকলেও উৎসব থেকে দূরে থাকছেন।‘জয় বাবা লোকনাথ’-এর ‘লোকনাথ’ ভাস্বর চটোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল গতকাল। সেখানেই সামান্য রং মেখেছেন গালে। ইচ্ছে থাকলেও রং খেলতে পারছেন না। বললেন, ‘খালি গায়ে শুট করতে হয়। গায়ে রং লেগে থাকলে খুব খারাপ হবে।’
ঠিক এই কারণেই অনেকে উৎসবে যোগ দিতে পারেননি। প্রত্যেক চরিত্রের লুকের ‘কন্টিনিউয়িটি’ আছে। রং না উঠলে তা ঘেঁটে যেতে পারে।
তবু ‘দেবী চৌধুরানী’-র ব্রজেশ্বর রাহুল মজুমদার আর ‘সৌদামিনীর সংসার’ ধারাবাহিকের আন্নাকালী প্রীতি বিশ্বাস মেতেছেন উৎসবে। সদ্য তাঁরা থাইল্যান্ডের শহর ব্যাংকক থেকে মধুচন্দ্রিমা শেষ করে ফিরেছেন। প্রীতি চিন্তিত মুখের রং উঠবে কিনা তা নিয়ে। রাহুল বিন্দাস। কারণ আপাতত কোনও শুটিং করছেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy