‘আরআরআর’ ছবির দৃশ্যে জুনিয়র এনটিআর।
সাকুল্যে দু’বার ছবির প্রদর্শন থমকেছে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য রামচরণকে দেখতে পাননি দর্শক। তাতেই মাথায় আগুন জ্বলেছে তাঁদের! প্রথমে চিৎকার করে প্রতিবাদ। দ্বিতীয় বারে আর মুখে নয় হাত কথা বলেছে তাঁদের। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহের কাচের জানলা, দরজা। উপড়ে দিয়েছেন পর্দার সামনের বেড়া। ভেঙে দিয়েছেন চেয়ার। ঘটনাস্থল বিজয়ওয়াড়ার বেসান্ত রোড।
ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবার সকালে? সময় সকাল সাড়ে সাতটা। মর্নিং শো দিয়েই মুক্তি পায় পরিচালক রাজামৌলির ‘আরআরআর’। সবাই যখন ছবিতে বুঁদ তখনই সকাল ৮.৪০ মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ছবি দেখানোয় বিভ্রাট। দর্শকের চিৎকারে কান পাতা দায়। জনতা ক্ষেপেছে বুঝেই তড়িঘড়ি যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে ফের প্রদর্শন শুরু। কিছু ক্ষণ পরে দ্বিতীয় বার এক ঘটনা ঘটতেই দর্শকদের রোখে কে? ভাঙচুর চালিয়ে তাঁদের রীতিমতো তান্ডব প্রেক্ষাগৃহে।
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হতচকিত প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার। তার পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেন তিনি। সামলে নেন সব কিছু। পরে সংবাদমাধ্যমে কর্ণধার জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট সিগনালে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে গিয়েছিল ছবিটি। তাতেই এমন মারমুখী সবাই। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হয় সরকারি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে।
দক্ষিণ এসিপি (দক্ষিণ) এম শ্রীনিবাসুলুর দাবি, "মদ্যপ অবস্থায় জনা দশেক যুবক ছবিটি দেখতে ঢুকেছিলেন। প্রদর্শন আচমকা বন্ধ হয়ে গেলে নেশার ঝোঁকে তাঁরাই হিংস্রতার আশ্রয় নেন। নির্বিচারে ভাঙচুর চালান প্রেক্ষাগৃহে। প্রশাসন তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy