Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

গুপ্তচরদের ফ্র্যাঞ্চাইজি

হলিউডে স্পাই থ্রিলার বরাবর বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখেছে। তা সে জেমস বন্ড হোক কী জেসন বর্ন। তাই শুধু একটা ছবিতে থেমে থাকছে না প্রযোজক সংস্থারা।

কিংগসম্যান

কিংগসম্যান

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ০০:৩৮
Share: Save:

হলিউডে স্পাই থ্রিলার বরাবর বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখেছে। তা সে জেমস বন্ড হোক কী জেসন বর্ন। তাই শুধু একটা ছবিতে থেমে থাকছে না প্রযোজক সংস্থারা। প্রায় সব স্পাই থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজি বার করে ফেলেছে। ‘কিংগসম্যান’ তো তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। প্রোডিউসাররা ঠিক করেছিলেন, প্রথম ছবিটা ভাল চললে তবে সিক্যুয়েলের কথা ভাববেন। ছবির বক্স অফিস সাফল্যে একটা নয়, তিন-তিনটে সিক্যুয়েলের প্ল্যান করতে হয়েছে তাঁদের। কয়েকটা স্পাই ফ্র্যাঞ্চাইজির হদিশ রইল...

জেমস বন্ড

স্পাই থ্রিলারের নাম করলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে জেমস বন্ড সিরিজের। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের লেখা এই ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাহিনী উপন্যাস হিসেবে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও, বড় পরদায় এর আকর্ষণ অস্বীকার করার উপায় নেই। পঞ্চান্ন বছর ধরে চলে আসা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম ছবি থেকেই লাভের মুখ দেখেছে। বিতর্কও কম হয়নি। ২০০৬ সালে ড্যানিয়েল ক্রেগকে জেমস বন্ডের চরিত্রে কাস্ট করা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ২০১২ সালে অস্কারজয়ী পরিচালক স্যাম মেন্ডেসকে নিয়ে আসাও অবাক করেছিল অনেককে। এখন তো শোনা যাচ্ছে, পরের ছবিতে নাকি পরিচালক হিসেবে দেখা যাবে ক্রিস্টোফার নোলানকে!

জেসন বর্ন

‘বর্ন’ সিরিজও অন্যতম জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর প্রধান চরিত্র জেসন বর্ন, সিআইএ-র গুপ্তচর। কিন্তু একটি মিশনে মাথায় আঘাত লেগে স্মৃতিশক্তি হারায় সে। তার নিজের আসল পরিচয় খোঁজার গল্পই এই ফ্র্যাঞ্চাইজির বিষয়। একটা ছবি ছাড়া তিনটেতেই মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। তাঁর অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরিজের গল্প বলার ধরনের প্রশংসাও করেছে ফিল্ম সমালোচকরা। তবে সবচেয়ে প্রশংসা পেয়েছে ছবির স্টান্ট। স্বাভাবিকভাবে এমন ধারার ছবিতে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয় অ্যাকশন দৃশ্যে। বর্ন সিরিজ সে পথে হাঁটেনি। সত্যি স্টান্ট দেখানো হয়েছে সিনেমা জুড়ে।

জেসন বর্ন

মিশন ইমপসিবল

একই নামের এক টেলিভিশন সিরিজের উপর ভিত্তি করে বানানো ‘মিশন ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি। ১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া এই সিরিজের গল্প এগোয় ইমপসিবল মিশন ফোর্সের এজেন্ট ইথান হান্টকে নিয়ে। আর এখানেই শুরু বিতর্কের। টিভি সিরিজে আসলে সম্মিলিত কাস্টকেই মুখ্য ভূমিকায় রাখা হয়। কিন্তু ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে ইথান হান্টের ভূমিকায় টম ক্রুজ একাই গোটা লাইমলাইট নিয়ে নেন। তবে বিতর্ক যতই থাক, সব ক’টা ছবিরই ভূয়সী প্রশংসা করেছে সমালোচকরা। বক্স অফিসও মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি।

কিংগসম্যান

২০১৫ সালে যখন সিরিজের প্রথম ছবিটা আসে, কেউ ভাবতেই পারেনি এতটা জনপ্রিয়তা পাবে ‘কিংগসম্যান’। পরিচালক নিজেও ভাবতে পারেননি। তাই সিক্যুয়েলের কোনও পরিকল্পনাও ছিল না তাঁর। কিন্তু ৮০ মিলিয়ন ডলারে বানানো ছবি যখন সাড়ে চারশো মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে, তখন আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয়, গল্প, সব মিলিয়ে চমকে গিেয়ছিলেন দর্শক। প্রধান চরিত্র হ্যারি হার্টের ভূমিকায় কলিন ফার্থ, এক অন্য রকম স্পাইকে বড় পরদায় নিয়ে আসে। জেমস বন্ডের মতো মারপিট সে করে না। সে বরং জেন্টলম্যান স্পাই। সেটাই হয়তো ভাল লেগেছিল দর্শকদের।

অন্য বিষয়গুলি:

James Bond Jason Bourne spy thrillers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE