শক্তি আনন্দ
টুকটাক অভিনয় শুরু করলেও ‘সারা আকাশ’-এর উড়ানেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন শক্তি আনন্দ। তার পর অভিনয়ের সঙ্গে চুটিয়ে সঞ্চালনাও করেছেন তিনি। দুটোতেই সমান সাবলীল শক্তির কাছে কঠিন অভিনয়টাই। বললেন, ‘‘সঞ্চালনায় বিশেষ কিছু গুণ থাকা দরকার— হাসিখুশি থাকা কিংবা কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা। অভিনয়ে নিজেকে ভাঙতে ও গড়তে হয় অনেক বেশি।’’
তবে সাধারণ কোনও শো নয়, শক্তি করেছেন ‘সাবধান ইন্ডিয়া’, ‘ক্রাইম পেট্রল’-এর মতো বাস্তবনির্ভর শোয়ের সঞ্চালনা। সেই সুবাদে তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিও ভরপুর। ‘‘এখনকার কথা বলতে পারব না। আমি যখন ‘ক্রাইম পেট্রল’ সঞ্চালনা করতাম, তখন পুলিশ ফাইল থেকে নিয়ে গল্পগুলো তৈরি হতো। ফলে দুর্ঘটনার জায়গায় যাওয়া, প্রায় চোখের সামনে কখনও সেই রক্তাক্ত দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা, রীতিমতো গায়ে কাঁটা দিত। ফিকশনের চেয়েও ভয়ঙ্কর সেই সত্যি ঘটনাগুলো। লকআপেও বেশ কিছু আসামিকে কাছ থেকে দেখেছি, সাক্ষাৎকারও নিয়েছি। কখনও কখনও সেগুলো মানসিক ভাবে যন্ত্রণাদায়ক হয়।’’ কীসের টানে একই ধরনের শো সঞ্চালনা করেছেন? ‘‘অনেক টাকা যে!’’ মজার ছলে জবাব দিলেন সঞ্চালক।
তবে উপস্থাপনার সবটাই ভাল নয়। ‘‘যদি কেউ সঞ্চালনা করে অনেক পরিচিতি পেয়ে যান, তা হলে গোটা দুনিয়া ভেবে নেয় যে, সেই মানুষটা অভিনয়ই করতে জানেন না। সিরিয়াস অ্যাক্টর হিসেবে তাঁকে আর কেউ নেন না। এই ধরনের জাজমেন্টাল হয়ে যাওয়াটা কোথাও তো ক্ষতি অবশ্যই করে,’’ স্পষ্ট জবাব শক্তির।
কেরিয়ারের সফরটাকে কেমন ভাবে দেখেন? ‘‘এক্কেবারে রোলার কোস্টার। কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে মনে হয়েছে কেন এটা করলাম। আবার নতুন কত কিছু শিখেছি। মহারানা প্রতাপ বা কল্পনার জগতের কোনও চরিত্রে অভিনয় যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। কারণ তা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার বাড়তি দায় থাকে।’’
অভিনয়, সঞ্চালনার পাশাপাশি হাত দিয়েছেন প্রযোজনায়। স্বীকার করলেন, ‘‘প্রযোজনায় ইগোর জায়গা নেই। অভিনেতারা অনেক বেশি প্যাম্পার্ড। শো সফল করার জন্য প্রযোজককে অনেক খাটতে হয়।’’
সহ-অভিনেত্রী সাই দেওধর তাঁর স্ত্রী। রয়েছে তাঁদের মেয়ে নক্ষত্র। তবে স্বামীর চেয়ে বাবা হিসেবেই নিজেকে এগিয়ে রাখলেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy