জাভেদ।ছবি: সুদীপ্ত চন্দ
তাঁর সুরে রোম্যান্টিক গান যেমন জাদু ছড়ায় দর্শকমনে, তেমনই তিনি স্বচ্ছন্দ পার্টি সংয়েও। জাভেদ আলির ‘নাগাড়া’ বা ‘গুজারিশ’ একই রকম জনপ্রিয়। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি এখন সুরও দিচ্ছেন।
ছোট থেকেই তিনি বড় হয়েছেন সংগীতের আবহে। জানালেন, ‘‘গান ছাড়া আমার অন্য কিছু করার নেই। গানটাই জীবন। ভগবানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, সংগীতসমৃদ্ধ একটি পরিবারে জন্মেছি। বাবাও এই জগতের মানুষ বলে গান শিখতে তেমন অসুবিধে হয়নি।’’
এ আর রহমানকে জাভেদ দেখেছেন খুব কাছ থেকে। তাঁর সুরে গান গাওয়া ছাড়াও শিখেছেন আরও অনেক কিছু। বললেন, ‘‘রহমান সাহেবের সঙ্গে যত বারই দেখা হয়, তত বারই সতেজতা অনুভব করি। ওঁর মধ্যে ডিভাইন এনার্জি আছে। ওঁর পাশে থাকার সুবাদে সব পজিটিভিটি আমাদের মধ্যেও চলে আসে। ওঁর জীবনে কোনও তাড়াহুড়ো নেই। আমাদের সকলের এটা শেখা উচিত যে, চূড়ান্ত ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও একজন মানুষ এতটা ঠান্ডা, ধৈর্যশীল ও রিল্যাক্সড থাকেন কী ভাবে।’’
গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর দেওয়াটা জাভেদ মনে করছেন একদম নতুন ইনিংস। নিজের কম্পোজিশনে স্বাধীনতাও বেশি। ‘‘এ ক্ষেত্রে যা খুশি করতে পারি। কিন্তু ছবির কাজ করতে গেলে চরিত্র, অভিনয়, টেক্সচারের কথা মাথায় রাখতে হয়,’’ জানালেন নতুন সুরকার। এখনকার গানে টেকনিক্যালি ত্রুটি সংশোধনের বিষয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। তবে সেটা লোকের দৃষ্টিভঙ্গি বলেই মনে করেন জাভেদ। স্পষ্ট জানালেন, ‘‘রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এখন বলিউডে টেক্সচারের যুগ। সেই টেক্সচার আনতে গেলে যদি প্রযুক্তির সাহায্য পড়ে, সেটা খারাপ কেন?’’
এর পর কোন কোন ছবিতে কাজ করছেন? ‘‘আসছে কিছু। তবে নাম বলব না। কারণ, একটা গান অনেকেই গাইছেন। কখনও আমারটা রিলিজ হয়। কখনও অন্যেরটা। তাই আমার খুশির মুহূর্তে কেউ দুঃখ পান নিশ্চয়ই,’’ হেসে বললেন জাভেদ। তাঁর নিজের সিঙ্গলসও আছে। সেমি-গজল ও দেশি সুফি গান নিয়েও কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। রবীন্দ্রসংগীতও শোনেন। কারণ তাঁর মতে, ‘‘রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে আমি শান্তি খুঁজে পাই।’’ রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের ভূমিকায় তিনি স্বচ্ছন্দ। জানালেন, ‘‘আগে অনেকেই জানতেন না, কোথা থেকে শুরু করবেন। এখন কেউ প্রতিভাবান হলে রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে লোকের নজরে পড়বেনই। আর তাঁর ভাগ্য ভাল হলে তো কথাই নেই!’’
জাভেদ ব্যস্ত হলেও ব্যক্তিগত জীবনে নিতান্ত ঘরোয়া মানুষ। মোটিভেশন পান পরিবার থেকে। আর বিশ্বাস রাখেন সর্বশক্তিমানের উপর। কারণ জাভেদের মতে, জীবন ও প্রাপ্তি... সবটাই আগে থেকে ঠিক করা। তাই না ভেবে, ব্যর্থতায় মুষড়ে না পড়ে, নিজের কর্মফলে আস্থা রেখে নিরন্তর কাজ করে যান।
অনেকের সঙ্গে কাজ করলেও ইলাইয়ারাজার সঙ্গে জাভেদের কাজের ইচ্ছেটা প্রবল। হিন্দির পাশাপাশি অনায়াসে গান করেন তামিল, তেলুগু, কন্নড়ে। কারণ মনে করেন, ‘‘সংগীতের আলাদা কোনও ভাষা নেই।’’ আর নিজের গাওয়া গানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংযোগ বোধ করেন ‘মওলা’র মাধ্যমে। কথোপকথনও শেষ হল সেই গানের সুরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy