প্রীতম চক্রবর্তী
প্র: বিচারক হওয়ার জন্য ‘দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’ই কেন বাছলেন?
উ: হিন্দি ফিল্মি গানের যাঁরা ভক্ত, তাঁরাই এই শোয়ের প্রতিযোগী। এবং প্রতিযোগীরা শুধু ভারতীয় নয়, বিদেশ থেকেও আসছেন। আমার কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লোকগীতি। এই শোয়ে অনেক ব্যান্ড, লোকসঙ্গীত গায়কদের সমাগম হবে। অধীর আগ্রহে বসে আছি, এঁদের গান শুনব বলে। আর একটা জিনিস, বিশ্বের দরবারে হিন্দি ছবির সঙ্গীতের এত চাহিদা দেখে নিজেকে খুব দায়িত্বপরায়ণ মনে হচ্ছে।
প্র: রিয়্যালিটি শো মানেই কান্নাকাটি! এগুলো সামলান কী করে?
উ: সত্যি বলব? আগে যখন দর্শক হিসেবে রিয়্যালিটি শো দেখতাম, তখন মনে হতো শোগুলোয় জোর করে অবান্তর কান্নাকাটির আবহাওয়া তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তী কালে আমি যখন বিচারক হিসেবে অংশ নিতে থাকলাম, অনুভব করেছিলাম যে, সেটে অনেক সময়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন সত্যি সত্যিই চোখে জল চলে আসে। আর ক্যামেরার বাইরে আমি কিন্তু ভীষণ আবেগপ্রবণ! আমার সঙ্গে তাই কেউ মুভি থিয়েটারে ছবি দেখতে যায় না। ইমোশনাল সিনে আমি ভীষণ কাঁদি, আবার মজার সিনে হেসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি!
প্র: সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে এখন কী লক্ষ্য?
উ: অবশ্যই ভাল কাজ করা। কিন্তু যা পেয়েছি তার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ফেরতও দিয়ে যেতে চাই। তাই মিউজ়িশিয়ানদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছি, যার নাম ‘জ্যাম এইট’। এখানে অনেক ট্যালেন্টকে আমার টিম খুঁজে আনে, যাঁদের আমি প্রশিক্ষণ দিই, আবার ওঁদের থেকে শিখিও।
প্র: এখন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের ভিড়। লড়াই কি আগের চেয়ে বেড়েছে?
উ: স্ট্রাগলকে অনেকেই খুব গ্লোরিফাই করেন। কিন্তু আমার মতে, যা কাজ পাবে, তাতে নিজের মনপ্রাণ উজাড় করে দেওয়া উচিত। আমি নিজে বিজ্ঞাপনের গান থেকে টিভি— সব মাধ্যমে কাজ করেছি। রাতবিরেতে স্টুডিয়োয় গিয়ে বিজ্ঞাপনের সুর বানিয়েছি। শেখার তো কোনও শেষ নেই। তাই সকলকে বলি, কাজের মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি। যা কাজ পাবে, সেটাই করবে।
প্র: অনুরাগ বসু আর অয়ন মুখোপাধ্যায়— দু’জনের সঙ্গে কাজের কেমন অভিজ্ঞতা?
উ: অনুরাগ আমার খুব ভাল বন্ধু। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভীষণ মধুর। অয়নের সঙ্গে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র কাজের সময় থেকেই ওকে জানতে শুরু করি। খুব মজার ছেলে! ‘ব্রহ্মাস্ত্র’তে ওর সঙ্গে কাজ করলাম। ছবিটা মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্র: বাংলায় এত কম কাজ করেন কেন?
উ: এটা আমার একটা বড় আক্ষেপ। কিন্তু আমি একটা ভাল সুযোগের অপেক্ষায় আছি। ‘জ্যাম এইট’ অবশ্য বাংলা ছবিতে সুর দিয়েছে সম্প্রতি। বিরসা দাশগুপ্তের ‘ক্রিসক্রস’-এ। আমি খুবই গর্বিত ওদের কাজ নিয়ে।
প্র: নিজের জন্য ব্রেক নেন?
উ: এ বছরটা পুরোটাই ব্রেক! ‘কলঙ্ক’ এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সামনের বছর মুক্তি পাবে। আসলে ব্রেক নেওয়াটা সচরাচর হয় না। বেড়াতে যাই পরিবারের সঙ্গে, সেটা একটা ব্রেক বলা যেতে পারে। তা ছাড়া সময় পেলেই সিনেমা দেখতে বসে যাই! সিনেমা দেখতে খুব ভালবাসি আমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy