Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Celebrity Interview

‘ঠাম্মা বলল, মেয়েটা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে’

মোনালিসা পাল ওরফে তন্দ্রার সঙ্গে আলাপে মৌসুমী বিলকিসমোনালিসা পাল ওরফে তন্দ্রার সঙ্গে আলাপে মৌসুমী বিলকিস

খলনায়িকার অভিনয় করতে পছন্দ করেন মোনালিসা। নিজস্ব চিত্র।

খলনায়িকার অভিনয় করতে পছন্দ করেন মোনালিসা। নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৯
Share: Save:

‘কে আপন কে পর’-এ জবার সঙ্গে কী করেন আপনি?

আমার সহ-অভিনেতারা সবাই খুব ভাল মানুষ। জবা, মানে পল্লবীর সঙ্গে ধারাবাহিকের গল্পে সব থেকে বেশি দুশমনি, কিন্তু রিয়েল লাইফে আমরা সব থেকে ভাল বন্ধু। আমরা একই ঘরে বসি, খাবার শেয়ার করি। ওর সঙ্গে আমার সাঙ্ঘাতিক বন্ধুত্ব।

ধারাবাহিকের গল্পে আপনাদের দু’জনকে সারাক্ষণ লড়াই করতে দেখা যায়।

অ্যাকশন আর কাটের মাঝেই ওই দুশমনিটা থাকে। কিন্তু তার বাইরে আমাদের সম্পর্ক ঠিক বিপরীত।

খলনায়িকার অভিনয় করতে কেমন লাগে?

খুব ভাল লাগে। প্রথম দিন থেকে সুশান্তদা (দাস) চরিত্রটা লিখেছেন, স্কেচ করেছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন। তো প্রথম দিন থেকেই আমি জানি যে চরিত্রটা কী রকম। এটা তো ধারাবাহিক, অনেক দিন ধরে গল্পটা চলতে থাকে। এক এক রকম করে এক একটা পর্ব প্ল্যান করা হয়। চরিত্রটা নানা রকম ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে থাকে। কিন্তু গল্পের একটা কাঠামো থাকে। এই যে নানা রকম ছদ্মবেশ নিতে হয় আমার চরিত্রটাকে, সে কারণে চরিত্রটা নানা রকম চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যায়। আমার ভারি মজা লাগে। আর সব থেকে বড় ব্যাপার হল, আমি একেবারেই তন্দ্রার মতো নই। যা আমি নই সেটা প্লে করতে হয় আমাকে।

নিয়মিত যাঁরা ধারাবাহিকটি দেখেন তাঁদের থেকে কোনও ফিডব্যাক পেয়েছেন?

আমার নিজের ঠাম্মা আমার সামনে আমার বাবা-মাকে বলেছে, ‘আর কত টাকা রোজগার করতে চায় ও? খুব খারাপ মেয়ে হয়ে যাচ্ছে। এত ভাল ছিল মেয়েটা! জবার সঙ্গে ও কেন এ রকম করছে? ও এত খারাপ হয়ে যাবে আমি কোনও দিন ভাবতে পারিনি। ওকে এত পড়াশোনা করানো হয়েছে। তার পরেও ও কেন এত বদমাইশি করছে?’

আরও পড়ুন: ‘বড় পরিচালকদের কেন যে এত ইনসিকিয়োরিটি!’

ঠাম্মার কথা কী ভাবে নিয়েছেন?

দিস ইজ আ কমপ্লিমেন্ট। এটা ভীষণ ফানি, ভীষণ মজার। দর্শকদের কাছ থেকে এ রকম রিঅ্যাকশন পাওয়াটা সত্যি একটা বড় পাওনা। তার মানে চরিত্রটার সঙ্গে আমি কানেক্ট করতে পারছি।

‘কে আপন কে পর’-এ মোনালিসা

তন্দ্রার নানা রকম লুকস...

হ্যাঁ। তন্দ্রা চিরকাল ভীষণ ফ্যাশনেবল এক মহিলা। এক সময় সে মডেলিংয়ে ভীষণ আগ্রহী ছিল। এখন বয়স হয়ে গেছে। চরিত্রটা মডেলিং নিয়ে আর ভাবে না হয়তো। তন্দ্রা ভীষণ সাজতে পছন্দ করে। মোনালিসা একেবারে তার উল্টো। আমি একদম সাজতে পছন্দ করি না। শুটিংয়ের বাইরে আমার মুখে কোনও মেকআপ থাকে না। লিপস্টিক পরি কখনও। কিন্তু আর কিছু না। তন্দ্রা কিন্তু সব সময় সেজে থাকে। সেই দিক থেকে জবাও তার কাছাকাছি নয়। তন্দ্রার অনেক রকম লুকস দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা আলাদা।

তন্দ্রা বার বার নিজের পরিচয় গোপন করে ফিরে আসে...

হ্যাঁ। সে জন্যই তন্দ্রার লুকস খুব ইম্পর্ট্যান্ট একটা বিষয়। প্রথমেই তাকে হতে হয় দর্শনধারী।

আরও পড়ুন: ‘জয়ী’, ‘বকুল’কে প্রকাশ্যে চড়! দেখুন ভিডিয়ো

পরিচয় গোপন করে নতুন লুকে তন্দ্রা ফিরে এলে দর্শকরা কি বুঝতে পারে যে এ-ই তন্দ্রা?

দেখুন, এটাই সিরিয়ালের মজা। গল্পে যে সাসপেন্সটুকু থাকে, আমি মনে করি দর্শকরা এতই বুদ্ধিমান যে আগে থেকে ধরে নিতে পারে। অভিনয়ের মজাটা এটাই যে দর্শক আন্দাজ করে নিতে পারলেও গল্পের টানে সে দেখতে থাকে যে এর পর কী হবে। টেলিভিশনের যে ধরনের সেটআপে আমরা কাজ করি সেখানে একেবারে পুরো লুকস পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ মেকআপ বদলে দেওয়া খুব ডিফিকাল্ট। চরিত্রের বেসিক আদলটা তাই বদলানো যায় না বলে আমার মনে হয়। দর্শকরা বুঝতে পারলেও ধরে নেন যে এই চরিত্রটা নতুন লুকসে নতুন কেউ। এটা তাঁদের কৃতিত্ব।

এই পর্যন্ত যত লুকস হয়েছে তার তার মধ্যে কোনটা আপনার কাছে ইন্টারেস্টিং?

এক বার আমি বয়স্ক পুরুষ সেজেছিলাম। সেটা ভারি মজার মনে হয়েছিল। জবা রান্না করছে আর আমি বুড়ো সেজে রান্নায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছি।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্তসেলেব্রিটি গসিপপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরবিনোদনবিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE