‘এলিট’ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পূর্বপুরুষরা যেমন চলে যান, আমার কাছে এটাও অনেকটা তেমনই। খুবই দুর্ভাগ্যের।
একে একে হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে কলকাতার ঐতিহ্যশালী পুরনো হলগুলো। অনেক, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এ সব সিনেমা হলের সঙ্গে।
মনে পড়ে, বাবার হাত ধরে ‘এলিট’-এ যেতাম। ‘লাইটহাউস’-এ যেতাম। বিরাট কাটআউট থাকত হলের বাইরে। ইংলিশ ফিল্ম আলটিমেট ছিল এক সময়। কালার ছিল, তাই অন্য একটা অ্যাট্রাকশন ছিল। বাংলা ছবি দেখা হত বেছে বেছে। বাবা সারা পৃথিবীর খবর রাখতেন। খুব ইনভলভমেন্ট থাকত।
মূলত এ সব হলে ওয়েস্টার্ন ফিল্ম দেখতাম। ফেয়ারি টেল নিয়েও প্রচুর ছবি দেখেছি। ‘এলিট’-এর আর্কিটেকচার তো সাহেবদের করা। সিঁড়ি, রেলিং সব ওদের করা। ভাবুন তো, ‘মেট্রো’তে সিনেমা দেখতে গিয়ে নরম কার্পেটে পা দেওয়া…। স্বর্গীয় আনন্দ পেতাম। সেই ফিলিংসটা এখন আর পাওয়া যায় না। রোমান হলিডে দেখার আনন্দ কি কেউ ভুলতে পারে?
আরও পড়ুন, এলিটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি সত্যজিৎকে
তবে এটাই হয়তো আধুনিকতা। হয়তো খরচায় পেরে ওঠা যাচ্ছে না। সিনেমা তৈরির খরচ বা হল মেনটেন করার খরচ যতটা বেড়েছে সে তুলনায় টিকিটের দাম তো বাড়েনি। ফলে আর্থ-সামাজিক প্রবলেম তো আছেই। খারাপ লাগছে। তবে মেনে নিতেই হবে। কিছু করার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy