এমএমএস কাণ্ড, পরিচালকের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়া… প্রতিবাদী প্রীতিকে বলা হত বলিউডের একমাত্র ‘পুরুষ’
নানা ঘটনা, নানা বিতর্কে বারবারই জর্জরিত হতে হয়েছে প্রীতি জিন্টাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
কখনও পরিচালক আব্বাস টায়ারওয়ালা, কখনও পরিচালক কমল আমরোহি, কখনও প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে মামলা, কখনও আবার তাঁর মতো দেখতে পর্ন স্টারের এমএমএস ভাইরাল হয়ে যাওয়া।
০২১৯
এ রকম নানা ঘটনা, নানা বিতর্কে বারবারই জর্জরিত হতে হয়েছে প্রীতি জিন্টাকে। আবার এমন ঘটনাও তাঁর জীবনে ঘটেছে, যে কারণে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রীতিকেই একমাত্র ‘পুরুষ’ সম্বোধন করা হয়েছিল।
০৩১৯
সিমলার রাজপুত পরিবারে জন্ম প্রীতির। বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারানোর পর থেকেই স্ট্রাগল শুরু প্রীতির।
০৪১৯
পড়াশোনা শেষ করে বলিউডে আসেন তিনি। ১৯৯৭ সালে শেখর কপূরের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁর সূত্রেই ‘দিল সে’ ছবিতে প্রীতির আত্মপ্রকাশ। শেখর কপূরকে প্রীতি মেন্টর মনে করতেন। তাই যে কোনও সিদ্ধান্তের আগে শেখরের পরামর্শ নিতেন।
০৫১৯
ক্রমে শেখর কপূরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়ে যায় যে, শেখরের স্ত্রী সুচিত্রা কৃষ্ণমুর্থী বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রীতি জিন্টাকেই দায়ী করেন। প্রীতি যদিও সে সবে কান না দিয়ে বলেছিলেন, সুচিত্রাদেবীর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
০৬১৯
প্রীতির নিজের প্রযোজনার ফিল্ম ছিল ‘ইসক ইন প্যারিস’। এই ফিল্মের ডায়লগ লিখেছিলেন আব্বাস টায়ারওয়ালা। প্রীতির বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকার চেক বাউন্সের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
০৭১৯
অভিযোগ ছিল, পারিশ্রমিক হিসাবে আব্বাসকে প্রীতির দেওয়া ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বাউন্স করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রীতির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
০৮১৯
‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ফিল্মের সময়ও বন্ধু সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। সে সময় সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
০৯১৯
তার বিষয়বস্তু ছিল এমন যে, প্রীতির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন সলমন। এই অডিয়ো সামনে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টা নিয়ে সলমন নীরব থাকলেও কিছু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন প্রীতি। পরে জানা যায়, অডিয়োটা ভুয়ো ছিল।
১০১৯
প্রীতি জীবনে যত রকম বিতর্কে জড়িয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল এমএমএস কাণ্ড। যার নেপথ্যে ছিল মাফিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রীতির সাক্ষী দেওয়া।
১১১৯
‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’র সময় আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাছ থেকে হুমকি ফোন পান অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। মাফিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননি কেউই। প্রীতিই ছিলেন একমাত্র যিনি প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছিলেন।
১২১৯
সেনা পরিবারের মেয়ে প্রীতিকে সে সময় বলিউডের একমাত্র ‘পুরুষ’ হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছিল।
১৩১৯
এর পর মাফিয়াদের কোপের মুখে পড়েন প্রীতি। প্রীতির মুখের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন পর্নস্টারের নগ্ন ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছিল।
১৪১৯
প্রীতি বিতর্কে জড়িয়েছেন পরিচালক কমল আমরোহির সঙ্গেও। এক সময় আমরোহি পরিবারকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন প্রীতি। পরে সেই টাকা ফেরতের জন্য মামলা করতে হয়েছিল প্রীতিকে।
১৫১৯
তবে প্রীতির জীবনে বোধহয় সবচেয়ে বড় বিতর্ক তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রেমিক ব্যবসায়ী নেস ওয়াদিয়াকে নিয়েই।
১৬১৯
ওয়াদিয়া গ্রুপের উত্তরাধিকারী নেস ওয়াদিয়া। বম্বে ডায়িং, বম্বে বর্মণ ট্রেডিং, ব্রিটানিয়া বিস্কুট, গোএয়ারের মতো সংস্থা তাদের অধীনে। শিল্পপতি নাসলি ওয়াদিয়ার সন্তান তিনি। এই নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গেই দীর্ঘ প্রেমজীবন কাটিয়েছেন প্রীতি।
১৭১৯
সে সময় এই হাই প্রোফাইল যুগলকে সব জায়গাতেই একসঙ্গে দেখা যেত। দু’জনে মিলে আইপিএলের টিম কিংস ইলেভেন পঞ্জাব কেনেন। এই সম্পর্ক নিয়ে এক সময় খুব সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল প্রীতিকে।
১৮১৯
ব্রেক আপের পরও তাঁরা দু’জনেই কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের যৌথ মালিক ছিলেন। ২০১৪ সালের ৩০ মে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেস তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করে প্রীতি। সে দিন ছিল চেন্নাই-পঞ্জাব ম্যাচ (এবং নেস-এর জন্মদিন)। ঝগড়ার সময়ে নেস নাকি প্রীতির হাত ধরে এমন টেনেছিলেন যে, নায়িকার চোটও লাগে।
১৯১৯
২০১৬ সালে জেনে গুডএনাফের সঙ্গে বিয়ে করেন প্রীতি। চুপি চুপিই লস অ্যাঞ্জেলসে বিয়েটা সেরেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন হাতে গোনা কয়েক জন তাঁর বন্ধু মাত্র।