চেতন ভগত
কয়েক সপ্তাহ আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন তনুশ্রী দত্ত। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মি টু আন্দোলনে সরব হয়েছে বলিউডের একাংশ। তনুশ্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন লেখক চেতন ভগতও। এ বার সেই চেতনের বিরুদ্ধেই এক মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল!
এক মহিলার সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তার ‘স্ক্রিনশট’ আজ সামনে এসেছে। তা ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ঘটনার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন চেতন ভগত। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে একটি মেয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ওই বাক্যালাপ হয়েছিল তাঁর। চেতন এ-ও জানিয়েছেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। এমনকি গোটা ঘটনার কথা নিজের স্ত্রী অনুষাকে জানিয়ে তাঁর কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন চেতন।
ভাইরাল হওয়া ‘স্ক্রিনশট’টিতে দেখা যাচ্ছে, চেতন ভগত লিখেছেন, ‘‘তুমি মিষ্টি, মজাদার এবং খুবই ভাল মনের মানুষ। তাই আমি ঠিক করেছি, তোমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করব। কিছু তো বল।’’ তার উত্তরে মেয়েটি বলেছে, ‘‘অন্য বিবাহিত পুরুষদের মতো কেন বলছ? তুমি কিন্তু এ রকম না। এর থেকে ভাল।’’
আরও পড়ুন: গাইব কী ভাবে! মশায় কাবু শান
এমন হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁস হতেই ফেসবুকে পোস্টে ৪৪ বছর বয়সি ওই লেখক লিখেছেন, যাঁর উদ্দেশে ওই বার্তা পাঠিয়েছিলাম, ‘‘তাঁর কাছে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ওই ‘স্ক্রিনশট’গুলি সত্যিই। যদি আমার ওই কথাগুলো আপনাদের ভুল মনে হয়, তা হলে দুঃখিত। আর আমার ক্ষমাপ্রার্থনা আপনারা মেনে নেবেন। আসলে এই ‘স্ক্রিনশট’গুলো কয়েক বছরের পুরনো। আর ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছে। আমাদের ভাল বন্ধুত্ব ছিল। আর যেমন ‘স্ক্রিনশট’-এ দেখা যাচ্ছে, আমি সব সময় ওর প্রতি টান অনুভব করতাম। কারণ ও খুব ভাল মানুষ।’’
এখানেই শেষ নয়, ওই ফেসবুক পোস্টে চেতন আরও লিখেছেন, ‘‘পরে আমার মনে হয়েছিল, আমি বিবাহিত। তবে যা-ই হোক, এই বিষয়ে আমি অনুষাকে জানিয়েছিলাম। ওর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। আমার মনে হয়, আমি কিছু ক্ষণের জন্য পথভ্রষ্ট হয়েছিলাম। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নই, কারণ এটা অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু ওই ‘ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা’— এই বক্তব্যটা একটা আলোচনা থেকেও আসতে পারে। কারণ তখন মহিলাদের নিয়ে আমার নতুন একটা বই ছিল। সেটার ব্যাপারে আমরা ‘ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা’ ও সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করে থাকতে পারি। তবে আমি সাফ জানাতে চাই যে, আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক, কোনও অশ্লীল ছবির আদানপ্রদান ছিল না। তার পরে অবশ্য আমি ওই মহিলার নম্বর মুছে ফেলেছিলাম এবং তাঁর সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ নেই। আরও এক বার আমি ওই মহিলা ও অনুষার কাছে ক্ষমা চাইছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy