চন্দন
প্র: আপনার কোয়রান্টিন পর্ব কেমন কাটছে?
উ: আর কী... বাসন মাজছি, কাপড় কাচছি, ঝাঁট দিচ্ছি, রান্না করছি, খাচ্ছি, ঘুমোচ্ছি... এটাও এক ধরনের সাধনা কিন্তু!
প্র: আপনার ছবি, ওয়েব সিরিজ় সবই তো পিছিয়ে গেল।
উ: হ্যাঁ, ‘রক্তরহস্য’ তো পিছিয়ে গেলই, ‘কালী’ সিজ়ন টু-র মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এর মধ্যেই। সবই তো থমকে রয়েছে। এই সময়টা কাজে লাগাচ্ছি গল্প লিখে। শিগগিরই ছবি তৈরি করার প্ল্যান আছে।
প্র: এর আগে শর্ট ফিল্ম করেছেন। এ বার কি ফিচার?
উ: হ্যাঁ। জুনে শুটিং শুরু করার কথা ছিল ইংল্যান্ডে। কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব এ দিক-ও দিক হয়ে গিয়েছে। প্রথম ছবির জন্য ব্ল্যাক কমিক থ্রিলার জ়ঁর বেছেছি। একদিকে দর্শকের হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবে, আবার অন্য দিক থেকে দেখতে গেলে গভীর সাইকোলজিও রয়েছে। কাস্টের ব্যাপারটা এখনই খুলে বলতে চাই না। আগে শুটিংটা শুরু হোক।
প্র: আপনি কি অভিনয়ের পাশাপাশি ফিল্মমেকিংয়ের দিকেও ঝুঁকছেন?
উ: বেশ কয়েকটা গল্প লিখে রেখেছি। লকডাউনের শেষে এই জেলখানা থেকে যখন মুক্তি পাব, ঠিক করেছি একে একে শুট করব। ভোজপুরি জ্যাজ় মিউজ়িক নিয়ে একটা রোম্যান্স লিখেছি। এ ছাড়া ইসমত চুঘতাইয়ের উপরে, জার্মানির অভিবাসীদের নিয়ে বেশ কয়েকটা কাহিনি হাতে রয়েছে। ইট’স আ নিউ জার্নি অব মাই লাইফ। আর সেটা উপভোগও করছি আমি।
প্র: বিশাল ভরদ্বাজের ‘কমিনে’তে শাহিদ কপূরের পাশাপাশি আপনার মিখাইল চরিত্রটিও নজর কেড়েছিল। তার পরে কি বলিউড আপনাকে যথেষ্ট ব্যবহার করল না?
উ: সে রকম ঠিক নয়। সিরিয়াস অ্যাক্টিং করতে চেয়েছিলাম বলেই একটু আলাদা রাস্তায় হেঁটেছিলাম প্রথম থেকেই। অনেক অপ্রয়োজনীয় ছবি করে আরও নামী মুখ হয়ে উঠতে পারতাম হয়তো। বাড়ি-গাড়ি হত। কিন্তু সে সব করতে চাইনি কখনও। আর তার ফলে অভিনেতা হিসেবে আমি সম্মান পেয়েছি অনেক বেশি। আয়্যাম নট ওয়ান অব মেনি। ‘মান্টো’য় আমার দুটো মাত্র দৃশ্য ছিল। সেটুকু দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, কে করেছে ওই পার্টটা? আই উড র্যাদার লিভ ফর দ্যাট। আমার কাছে ওটাই যথেষ্ট। অনেক অভিনেতাদের দেখেছি, দর্শক পছন্দ করেন বলে নিজেদের রিপিট করে যান। পাঁচ বছর পরে আর তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্র: এখন কি আপনি ফিল্ম ছেড়ে ওয়েবে বেশি মন দিয়েছেন?
উ: গত বছর থেকেই ওয়েবে পুরোদমে কাজ করা শুরু করেছি। এখানে আমি যে ধরনের কাজ করতে চাই, তেমনটা পারছি। আই হ্যাভ মোর টু ডু হিয়ার। হিন্দি ফিল্মে বড্ড গতে বাঁধা চরিত্রে পড়ে গিয়েছিলাম। কেউ বলছে তুমি ভিলেন হয়ে যাও, কেউ বলছে দুটো সিন আছে করে দাও... এ ভাবে আর কাজ করব না।
প্র: ‘অপরাজিতা তুমি’, ‘মহানগর@কলকাতা’র মতো বেশ কিছু বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন। সম্প্রতি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘উড়োজাহাজ’ করলেন। বাংলার মেনস্ট্রিম পরিচালকদের কাছ থেকে ছবির প্রস্তাব পান?
উ: ততটা নয়। তবে বুদ্ধদার মতো পরিচালকের সঙ্গে ছবি করতে পারছি, এটাই তো যথেষ্ট। রনি সেনের সঙ্গে ‘ক্যাটস্টিক’ বলে একটা ছবি করলাম। ‘রক্তরহস্য’-এর জন্য সৌকর্য ঘোষাল ফোন করার পরে ওর সম্পর্কে রিসার্চ করেছিলাম। তা ছাড়া আমি কোয়েল মল্লিকের অ্যাডমায়ারার। তাই রাজি হয়ে গেলাম। এ ছাড়া মধুজা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘ডিপ সিক্স’ বলে একটা ছবিও করেছি। হিন্দি ওয়েবে ‘কালী’র পরের সিজ়নে আছি। প্রকাশ ঝায়ের পরিচালনায় একটা সিরিজ়ও করলাম। এর পর চরিত্র পছন্দ না হলে আর ছবি করব না বলে ঠিক করেছি। বরং ছবি তৈরি করে, তার জন্য গল্প লিখে, ওয়েব শো করে নিজের এনার্জি চ্যানেলাইজ় করব আমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy