চলতি বছর এপ্রিল মাসে অভিনেত্রী সেলিনা জেটলিকে নিয়ে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেন পাকিস্তানের স্বঘোষিত চিত্রসমালোচক। নাম উমের সান্ধু। উমের টুইট করেন, ‘‘সেলিনা ভারতের একমাত্র অভিনেত্রী যিনি বাবা এবং ছেলে (ফিরোজ় খান এবং ফারদিন খান) দু’জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে ছিলেন। উমেরের এই টুইটের পরেই সমাজমাধ্যমে ঝড় ওঠে। এ হেন টুইটের পর বেশ অস্বস্তিতে পড়েন সেলিনা, বিব্রতও হন। সেই সময় এ হেন টুইটের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন অভিনেত্রী। এ বার আরও বড় পদক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী। তিনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তদন্ত এবং পদক্ষেপের দাবি করেছেন। মহিলা হাই কমিশনের নজরেও এনেছেন গোটা বিষয়টি।
২০০১ সালে ‘জানশীন’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সেলিনার। আর্কষণীয় চেহারার অধিকারী সেলিনাকেই ছেলের প্রথম ছবির নায়িকা হিসাবে নির্বাচন করেন অভিনেতা-পরিচালক ফিরোজ় খান। সাহসী দৃশ্যে ও পোশাকে নজর কাড়েন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনয়ের জন্য মাঝেমধ্যেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এক সময় নিজে থেকেই সরে যান এই গ্ল্যামার দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে। আচমকাই অভিনেত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সেলিনা। সে সময়ে পাল্টা টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘মিস্টার সান্ধু, এই টুইট করে আপনি হয়তো পুরুষ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন, আপনার হয়তো একটু আশাও বেড়েছে যে, আপনার যৌন অক্ষমতা সেরে উঠবে। বিশ্বাস করুন, সেরে ওঠার আরও উপায় রয়েছে। চাইলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন, দয়া করে সময় নিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়ে নেবেন!’’
এ বার আইনি পথ বেছে নিলেন অভিনেত্রী। ভারত ও পাকিস্তানের হাইকমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে অস্ট্রিয়ার বাসিন্দা সেলিনা। তাই তাঁকে নিয়ে উদ্বেগে পরিবার পরিজন। সম্প্রতি টুইট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘উমের সান্ধু নামে পাকিস্তানের স্বঘোষিত এক চলচ্চিত্র সমালোচক এবং সাংবাদিক আমার সম্পর্কে ভয়ঙ্কর মিথ্যা দাবি করেছিলেন। আমি নাকি আমার শিক্ষক ফিরোজ খান এবং তাঁর ছেলে ফারদিন খানের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে ছিলাম। আমি এক জন ভারতীয় সেনার মেয়ে। আমি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। এই লোকটাকে উচিত শিক্ষা দিতে হলে পাকিস্তান যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে তা-ও যাব।’’
অভিনেত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) কাছে গোটা বিষয়টিকে তৎপরতার সঙ্গে দেখার জন্য। বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। অভিনেত্রী তাঁর টুইটে জানান, মন্ত্রক ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব নিয়ে দেখেছে এবং অবিলম্বে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy