গত বুধবার ফেসবুকে অভয় লিখেছিলেন, ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপন করা হীনতা, মিথ্যে ও বর্ণবিদ্বেষ ছাড়া কিছু নয়। তিনি একাধিক ছবি দিয়ে দেখিয়েছিলেন, কী ভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপন করে ত্বকের আসল রংকে অনাকাঙ্খিত হিসেবে প্রচার করছেন শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, সোনম কপূর, বিদ্যা বালন, জন আব্রাহাম, শাহিদ কপূর সহ অনেক বলি তারকা। যে ভাবে তাঁরা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের রং ফর্সা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাকে অভয় ধিক্কার দিয়েছেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও বলিউডে রয়েছে। অনেকেই এ ধরনের ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফার পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন। তালিকাটা নেহাত ছোট নয়।
আরও পড়ুন, অভয়ের বর্ণবিদ্বেষী খোঁচা, টুইট ডিলিট করে ট্রোলড হলেন সোনম
রণবীর কপূর: ২০১১। ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রণবীর। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, এতে বর্ণবাদী বাঁধাধরা কনসেপ্টকেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়।
কঙ্গনা রানাউত: শোনা যায় এ ধরনের বিজ্ঞাপনে ২ কোটি টাকা পারিশ্রমিকের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকেই এই ফেয়ারনেসের কনসেপ্টটা আমি ঠিক বুঝি না। সেলিব্রিটি হিসেবে এই বিজ্ঞাপন করলে নতুন জেনারেশনের জন্য কী দৃষ্টান্ত তৈরি করতাম? এই অফারটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই। পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার তো কিছু দায়িত্ব রয়েছে।’’
স্বরা ভাস্কর: ২০১৫ সালে একটি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড স্বরাকে অফার দিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তিনি অফার ফিরিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে স্বরা বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি আমি যেমন, ঠিক তেমন ভাবেই নিজেকে ভালবাসব। ত্বকের রং কালো হলে সেটাই আমার জন্য পারফেক্ট হবে। ক্রিম মেখে ফর্সা হওয়ার প্রবণতাকে কোনও ভাবেই পাত্তা দেওয়া উচিত নয়। আমি সব মেয়েদের বলব, নিজেকে চেঞ্জ করো না।’’
রণদীপ হুডা: একটি ফেয়ারনেস প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার হওয়ার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রণদীপ। কারণ প্রথমত তিনি মনে করেন- ছেলেদের টল, ডার্ক, হ্যান্ডসাম হওয়া উচিত। আর দ্বিতীয়ত- শুধুমাত্র ফর্সা ত্বক দিয়ে সৌন্দর্যের বিচার করা উচিত নয়।
কাল্কি কোয়েচলিন: কাল্কির কথায়, ‘‘আমাদের দেশে সৌন্দর্যের মাপকাঠি শুধুমাত্র ফর্সা হওয়া। এটা একেবারেই ঠিক নয়। এখানে এমন কত মানুষ আছেন যাঁদের ত্বকের রং কালো হলেও তাঁরা কত সুন্দর। আমি তো বরং এমন ক্রিম চাই যেটা আমাকে একটু কালো হতে সাহায্য করবে। অ্যান্টি এজিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন আমি করেছি। কারণ আমার মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। কিন্তু ফেয়ারনেস ক্রিমকে কখনওই প্রোমোট করা উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy