বনি সেনগুপ্ত, আয়ুশী তালুকদার এবং সোমরাজ।
বনি সেনগুপ্ত রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। কিন্তু রাজনীতি তাঁকে ছাড়ছে কই?
এই মুহূর্তে তিনি বোলপুরে। রাজা চন্দের আগামী ছবি ‘আম্রপালি’র শ্যুটে ব্যস্ত। সেখানেও নাকি পায়ে পায়ে পৌঁছে গিয়েছে রাজনীতি! পরিচালকের লেখা গল্পের পটভূমিকায় প্রেমের পাশাপাশি খানিক রাজনৈতিক টানাপড়েনও আছে। সেখানেই ‘তিন ইয়ারি কথা’।
সোমরাজ, আয়ুশী তালুকদার এবং বনি সেনগুপ্ত।
সোমরাজ আর আয়ুশী বাস্তবেও প্রেমে মশগুল। তাই কি পর্দায় যুগলবন্দি ঘটল? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। রাজার দাবি, ‘‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী আয়ুশীর মুখ ও উপস্থিতি চরিত্রের সঙ্গে মানানসই। তাই তাঁকে সোমরাজের বিপরীতে বেছে নিয়েছি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখানে ছায়াপাত ঘটায়নি।’’
বাস্তবে নায়ক-নায়িকা সম্পর্কে থাকলে পর্দার রসায়নে সাধারণত তার ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটে। এই তত্ত্ব যদিও মানতে নারাজ রাজা। তাঁর মতে, বাস্তবে সম্পর্কে থাকলে পর্দায় তাকে ফুটিয়ে তোলা বেশি কষ্টের। কারণ, সত্যি সম্পর্কে অভিনয় আসে না!
একই ভাবে পরিচালক জানিয়েছেন, বনিকে ছবিতে নেওয়া এই প্রজন্মের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে। বনি অভিনীত ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’র গন্ধ যেন এখনও অভিনেতার গায়ে জড়ানো। কলেজ প্রেমিক হিসেবে এই মুহূর্তে তাই বনিই উপযুক্ত।
কিন্তু একই সঙ্গে বনির রাজনৈতিক জীবনও তো রয়েছে...। কথা ফুরনোর আগেই রাজার বক্তব্য, ‘‘আমার ছবিতে ভালবাসা মুখ্য। রাজনীতি বাড়তি স্বাদ যোগ করবে মাত্র। বনিকে প্রয়োজন। তাই বনি আমার ছবিতে।’’ ‘আম্রপালি’ গাছের নার্সারিকে কেন্দ্রে রেখেই আবর্তিত হবে গল্প। তাই তার নামেই ছবির নাম রেখেছেন তিনি।
গল্পে শেষ পর্যন্ত আয়ুশী কার হবেন? আপাতত সেই রহস্য ফাঁস করতে নারাজ পরিচালক। বোলপুর এবং তার আশপাশে শ্যুট চলছে। ছবির সামান্য কিছু অংশ এবং গানের দৃশ্যের শ্যুট হবে উত্তরবঙ্গে। আবহে লোকগান। রাজার দাবি, ‘‘গানের দায়িত্ব কে নেবেন, এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটা ঠিক, ছবি জুড়ে গানের সুরে ছড়িয়ে পড়বে মাটির গন্ধ।’’
ঠিকই তো! গাছের নার্সারিতে মাটি না থাকলে ‘আম্রপালি’ সজীব, সতেজ থাকবে কী করে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy