মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণের পর থেকে চর্চায় মমতা কুলকার্নি। এক কালে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মাদকযোগেও নাম জড়িয়েছে। সে সব পিছনে ফেলে মহাকুম্ভের মহামণ্ডলেশ্বর কিন্নর আখড়ায় গিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। নতুন নামকরণও হয় তাঁর। সন্ন্যাস গ্রহণ করার করার সময়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি। তবে এই সবের মধ্যে মমতার দিকে ধেয়েও আসে একাধিক কটাক্ষ। সত্যিই কি মন থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন অভিনেত্রী? বেদ ও শাস্ত্র নিয়ে কি তাঁর জ্ঞান রয়েছে? এমন প্রশ্নও ওঠে। তারই প্রমাণ এ বার নিজেই দিলেন মমতা।
‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসছেন মমতা। সেখানেই তাঁর দিকে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন সঞ্চালক রজত শর্মা। সেই অনুষ্ঠানের একটি ঝলক সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমেই তিনি প্রশ্ন করেন, “যাঁরা সন্ন্যাস গ্রহণ করেন, মহামণ্ডলেশ্বরের সম্মান পান, তাঁদের বেদ ও শাস্ত্র নিয়ে ধারণা থাকে। মমতার কি তা রয়েছে?” এই প্রশ্ন শুনেই চোখ বুজে মন্ত্র পড়তে শুরু করেন মমতা।
আরও পড়ুন:
সন্ন্যাস গ্রহণ করার পরে মমতার নতুন নাম হয়েছে— শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি। যদিও ইতিমধ্যেই মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি। তাঁর এই পদ নিয়ে কিন্নর আখড়ার অন্দরেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস অভিনেত্রীকে এই বিশেষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে অপসারিত হলেন কিন্নর আখড়ার নেত্রী এবং জনপ্রিয় সমাজকর্মী আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী-ও।
পাশাপাশি ঋষি অজয় কটাক্ষ করে এ-ও বলেন, “এটি ‘বিগ বস্’-এর মতো কোনও রিয়্যালিটি শো নয় যে, মহাকুম্ভের সময় এটা করো ওটা করো। তার পর তিন বছর তুমি কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকো।” তাঁর দাবি, আখড়ার নিয়ম মেনে সন্ন্যাস গ্রহণ না করেই মমতা ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ পদ পেয়েছিলেন, যা নীতিবিরুদ্ধ। তাই অভিনেত্রী এবং লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হলেন।