Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থার ভিন্ন ধারার নিদর্শন

স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন কী ভাবে ছোটদের অনুপ্রাণিত করে, তাদের জীবনে পরিবর্তন আনে, তারই খোঁজ রয়েছে এই ছবিতে। ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রদের পুনর্মিলন উৎসবে শামিল হচ্ছে অনুবিল ওরফে বিলে।স্কুলে প্রবেশের পরে পুরনো বন্ধুদের সান্নিধ্যে তার পড়ুয়া জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি উসকে দেয়।

ছবির একটি দৃশ্য

ছবির একটি দৃশ্য

স্বর্ণাভ দেব
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:২০
Share: Save:

বিলের ডায়েরী

পরিচালনা: বিশ্বরূপ বিশ্বাস

অভিনয়: বিশ্বনাথ, সমদর্শী, সুমিত, আদিত্য, অভিনন্দন

৪.৫/১০

মূলত রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসের নিদর্শন এই ছবিতে উঠে এসেছে। তবে ছবির বিষয়বস্তু সমস্ত আবাসিক পঠনপাঠনেরই দৃষ্টান্তস্বরূপ। চিরাচরিত ছবির ভিড়ে তাই ছবির ভাবনা স্বাদবদল করতে সাহায্য করে। সে জন্য পরিচালককে তারিফ দিতে হয়। স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন কী ভাবে ছোটদের অনুপ্রাণিত করে, তাদের জীবনে পরিবর্তন আনে, তারই খোঁজ রয়েছে এই ছবিতে। ছবিতে দেখা যায়, ছাত্রদের পুনর্মিলন উৎসবে শামিল হচ্ছে অনুবিল ওরফে বিলে। স্কুলে প্রবেশের পরে পুরনো বন্ধুদের সান্নিধ্যে তার পড়ুয়া জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি উসকে দেয়। বিলে ফিরে যায় ছোটবেলায়। বাবা-মা ছেড়ে যাওয়ার পরে নতুন জায়গায় সে কী ভাবে মানিয়ে নেয়, তার জীবনে ছাত্রাবাসের প্রভাব কতটা, তা-ও দেখা যায়। সিনিয়র স্টুডেন্টদের দাপট, কানু মহারাজের সক্রিয় ভূমিকার পাশাপাশি সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, দুষ্টের মোকাবিলায় জোট বাঁধা... নানা বিষয় এই ছবির উপজীব্য। তবে ছবিটিতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যার মধ্যে প্রধান গতিমন্থরতা। প্লট নির্মাণে অনেকটাই সময় নিয়েছেন পরিচালক। সম্পাদনার ক্ষেত্রে আরও সাহস দেখানোর প্রয়োজন ছিল। একগুচ্ছ গানও বিরক্তির উদ্রেক করে। ক্যামেরার কাজেও আর একটু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। ছবির বেশ কয়েকটি অংশে অসঙ্গতি রয়েছে। মহারাজের ভূমিকায় বিশ্বনাথের অভিনয় যথাযথ। সমদর্শীও মন্দ নয়। ছোটদের অভিনয়ও আকর্ষক। ছোট বিশের চরিত্রে অভিনন্দন প্রশংসনীয়। ছোট বিলে আদিত্যও বেশ। রূপঙ্করের কণ্ঠে ‘মারিও না...’ গানটি শুনতে ভাল লাগে। তবে ছবির অন্তর্নিহিত ভাবনা প্রশংসনীয় হলেও পরদায় তার যথাযথ রূপায়ণ হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE