উপহার: গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের দফতরে আসে টিম বেগমজান। উপরের ছবিতে বিদ্যা বালন ও মহেশ ভট্ট।— নি়জস্ব চিত্র।
জাতীয় পুরস্কারের পর পরই বেগমজান ছবির মুক্তি। বাঙালি পরিচালকের হাত ধরেই কি সিনেমার জাতীয় মানচিত্রে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছে ঝাড়খণ্ড?
গত সপ্তাহেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা হয়েছে। তাতে উত্তরপ্রদেশের পরে দ্বিতীয় সিনে-বান্ধব রাজ্যের পুরস্কার পেয়েছে ঝাড়খণ্ড। অথচ হাল আমলে শ্যুটিং লোকেশন হিসেবে ঝাড়খণ্ড যে খুব বেশি ব্যবহার হয়েছে, তা নয়। গত বছর নীরজ পাণ্ডে পরিচালিত ধোনির বায়োপিকের অনেকটা শ্যুটিং হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে। সেটা ছিল গল্পের একান্ত দাবি। তা বাদে শুধু লোকেশনের টানে ঝাড়খণ্ড আসছেন সারা দেশের পরিচালকরা, এমন নজির বেশি নয়।
যেমন নীরজ ছাড়া এ রাজ্য থেকে উঠে আসা নামী পরিচালক ইমতিয়াজ আলি বা রাজকুমার গুপ্ত কিন্তু এখনও অবধি নিজের রাজ্যে কোনও লোকেশন রাখেননি। সে দিক থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বেগমজানই এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের হাতে সবচেয়ে বড় তাস। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তাই কোনও কার্পণ্য না করে বেগমজানকে আগাম করমুক্ত ঘোষণা করেছেন, সঙ্গে ২ কোটি অর্থসাহায্যও।
এক সময় বাংলা ছবির জন্য প্রায়শই তাঁবু পড়ত ঝাড়খণ্ডে। এ রাজ্য তখন বিহারের অঙ্গ ছিল। তার পর মাওবাদী হানা এবং অশান্ত পরিবেশ ক্রমশ ঝাড়খণ্ডকে সিনেমা থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। অবস্থা বদলাতে চেয়ে ২০১৫ সাল থেকে রঘুবর নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে এগোচ্ছেন। এ বারের পুরস্কার তারই স্বীকৃতি।
প্রশ্ন উঠছে, এখনই কি ঝাড়খণ্ডকে সিনেমা-রাজ্য বলে সম্মানিত করার সময় এসেছে? গত বছর গুজরাত, এ বছর উত্তরপ্রদেশ-ঝাড়খণ্ড— বেছে বেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোই কি পুরস্কার পাচ্ছে? অনেকে এ প্রশ্নও তুলছেন যে, সিনে-বান্ধব হওয়া মানে কি শুধু টাকা দেওয়া বা আমলাতান্ত্রিক তৎপরতা? গুজরাতে যেখানে ‘রইস’-এর শ্যুটিংয়ে ঝামেলা হয়, যে সব রাজ্যে ছবির মুক্তি নিয়ে সমস্যা হয়, তারা কি সিেন-বান্ধব? ঝাড়খণ্ড সরকারের দাবি, তারা সর্বার্থেই সিনে-বান্ধব। দুমকায় শ্যুটিং শেষে সৃজিত থেকে শুরু করে মহেশ ভট্ট, বিদ্যা বালন সবাই ঝাড়খণ্ডের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী অমর বাউরি বলেন, ‘‘আমরা ফিল্ম সিটি বানাচ্ছি। শিল্প থেকে সিনেমা সব দিক থেকেই ঝাড়খণ্ড পরিবেশ বান্ধব হচ্ছে।’’
রঘুবরও বলছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের আর্কষণীয় ফিল্ম নীতিই শ্যুটিংয়ের জন্য পরিচালকদের উৎসাহিত করবে। শুধু হিন্দি নয় আঞ্চলিক ভাষার ছবি যেমন বাংলা, ওড়িয়া বা ভোজপুরি পরিচালকরাও স্বাগত।’’ সম্প্রতি
বাঙালি পরিচালক নিমু ভৌমিক মাওবাদীদের নিয়ে একটি ছবি করেছেন। ছবির পটভূমি পলামু। নিমু বললেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল ছিল বলে শ্যুটিং দ্রুত শেষ হতে পেরেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy