(বাঁ দিক থেকে) সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দামিনী বেণী বসু, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
অনেক টালবাহানার পর কেশসজ্জা শিল্পীর লিখিত অভিযোগ নিল রিজেন্ট পার্ক থানা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে সেই বিষয়ে অনুযোগ জানিয়ে বলেন, “গত রাত থেকে এফআইআর দায়েরের চেষ্টা চলছে। প্রথমে হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের জন্য যাওয়া হয়। কিন্তু তারা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। যুক্তি, ঘটনাস্থল রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়।” সেই অনুযায়ী হরিদেবপুর থানার কর্তব্যরত অফিসার রবিবার সকালে বিষয়টি ফোনে জানিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট থানার কর্তব্যরত অফিসারকে। এর পর কেশসজ্জা শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রিজেন্ট পার্ক থানায় উপস্থিত হন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দামিনী বেণী বসু, পরমব্রত প্রমুখ। প্রথম দিকে কিছুতেই নাকি অভিযোগ নিতে রাজি হচ্ছিলেন না থানার কর্তব্যরত অফিসার। অনেক টালবাহানার পর থানা লিখিত অভিযোগ নেয়, আনন্দবাজার অনলাইনকে এ খবর দেন পরমব্রত, সুদীপ্তা উভয়েই।
শনিবার রাতেই কেশসজ্জা শিল্পী হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ফটোকপি আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছে। পাশাপাশি, ভয়েস নোটে পাঠানো অভিযোগবার্তা (আনন্দবাজার অনলাইন সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি) অনুযায়ী, গিল্ড-ফেডারেশনের যোগসাজসে তিনি একের পর এক কাজ হারাচ্ছেন। যার জেরে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর লেখা সেই অভিযোগপত্রটি এ দিন জমা পড়ে থানায়।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী অভিযুক্তদের কাউকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিযোগকারিণীর পরিবারের সঙ্গে। তাঁর ভাগ্নে সুমন মণ্ডল বলেন, “আজ শুধুই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করবে কি না বা করলেও কী করবে, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি আমাদের।” তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পরমব্রত-সুদীপ্তা-দামিনী বেণীকে। বলেন, “ওঁরা প্রত্যেকে শনিবার রাত থেকে আমাদের পাশে রয়েছেন।”
এ দিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে প্রকাশ, কেশসজ্জা শিল্পী নাকি জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ। কাজে ফিরতে চান। ভাগ্নেকে এ বিষয়ে জানাতেই তাঁর ক্ষোভ, “মামীকে এখনও ঘুমের ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। কথা বলার অবস্থাতেই নেই। সারা ক্ষণ আমরা পালা করে ওঁকে পাহারা দিচ্ছি। আমাদের এড়িয়ে কখন সংবাদমাধ্যমে কথাগুলো বললেন?” তাঁর এমনও দাবি, এ সবই অভিযুক্তদের রটানো ভুয়ো খবর। কেশসজ্জা শিল্পীকে এ ভাবেই তাঁরা আরও হেনস্থা করতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy