কী বলছেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গিল্ড, ফেডারেশনের যোগসাজশে একের পর এক কাজ হারাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ বার্তায় এ কথা জানিয়ে শনিবার রাতে আত্মহননের চেষ্টা করেন টলিউডের এক কেশসজ্জা শিল্পী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করানো হয় দক্ষিণ কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে। ছুটে যান পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, মানালি দে-সহ অনেকেই।
এখন কেমন আছেন অভিযোগকারিণী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর পরিবারের সঙ্গে। কেশসজ্জা শিল্পীর ভাইঝি লিপিকা দাস জানিয়েছেন, একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছেন তাঁর পিসি। শনিবার গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে চিকিৎসকের নির্দেশ, বেশি কথা বা বেশি উত্তেজনা তাঁর শরীরের পক্ষে ভাল নয়। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
লিপিকা এ-ও বলেছেন, “গত রাতেই হাসপাতালের নির্দেশে হরিদেবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছি আমরা। এখন আমরা আবারও থানায় কথা বলতে যাচ্ছি। আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।” বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সমস্ত অভিনেতা, পরিচালক কেশসজ্জা শিল্পীর পক্ষে। তাঁরা ধিক্কার জানিয়েছেন গিল্ড এবং ফেডারেশনের এই আচরণের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে কি কোনও ফোন এসেছে কেশসজ্জা শিল্পীর কাছে? লিপিকার কথায়, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনও ফোন আসেনি।”
এ দিকে টলিউডের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, কেশসজ্জা শিল্পী মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন হেয়ার ড্রেসার গিল্ড আর সংগঠনের বিরুদ্ধে। আদৌ তিনি সুবিচার পাবেন তো?
একই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে। কী বলছেন স্বরূপ বিশ্বাস? তাঁর কথায়, “অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি দেখছে। কমিটি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর পর যে পদক্ষেপ করা উচিত, সেটাই করব আমরা।” পাশাপাশি, গিল্ড-ফেডারেশনের গোপন আঁতাঁতের কথাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy