Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ফুল ফুটুক না ফুটুক

টালিগঞ্জে ঘোর শরতে কিনা প্রজাপতির ঝাপটা।কী আশ্চর্য কাকতালীয়! সৃজিত থেকে রাইমা। পায়েল থেকে দেব। সবাই চাইছেন ‘সেটল’ করতে। কোন পাত্র কোন পাত্রীকে বিয়ে করছেন সেটা অবশ্য কেউ খোলসা করছেন না। এই চিরন্তন উড়ু উড়ু মনের শিল্পী-পরিচালকরা যত দিন না সাত পাক ঘুরছেন, পুরোটাই অনুমানের উপর ছেড়ে দেওয়া ভাল। কিন্তু স্টুডিয়ো পাড়ায় যে ‘ম্যারেজ ইজ ইন দ্য এয়ার’... সেটাও তো ব্রেকিং নিউজ...খোঁজ নিলেন ইন্দ্রনীল রায়সেদিন দুপুরবেলা মুম্বইয়ের ফ্লাইট। পরের দিন মুম্বই থেকে দিল্লি উড়ে যাবেন টানা হিন্দি ছবির শ্যুটিং করতে। কলকাতায় ফিরবেন পুজোর পর। এক মাসের প্যাকিং তখনও প্রায় কিছুই হয়নি। শুধু স্যুটকেসটাই যা বের করা হয়েছে। ব্ল্যাক কফি, আর ডাইজেসটিভ বিস্কিট নিয়ে তখন আড্ডা মারার মুডে রাইমা সেন। চুলটা বেঁধে সোফায় বাবু হয়ে বসলেন। রেডি, স্টেডি, গো... তখন কে জানত কিছু পরেই বলবেন তিনি বিয়ে করতে চাইছেন...

রাইমা

রাইমা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

রাইমা সেন

সেদিন দুপুরবেলা মুম্বইয়ের ফ্লাইট। পরের দিন মুম্বই থেকে দিল্লি উড়ে যাবেন টানা হিন্দি ছবির শ্যুটিং করতে। কলকাতায় ফিরবেন পুজোর পর।

এক মাসের প্যাকিং তখনও প্রায় কিছুই হয়নি। শুধু স্যুটকেসটাই যা বের করা হয়েছে।

ব্ল্যাক কফি, আর ডাইজেসটিভ বিস্কিট নিয়ে তখন আড্ডা মারার মুডে রাইমা সেন। চুলটা বেঁধে সোফায় বাবু হয়ে বসলেন। রেডি, স্টেডি, গো... তখন কে জানত কিছু পরেই বলবেন তিনি বিয়ে করতে চাইছেন...

অনেক দিন পর...

হ্যাঁ, অনেক দিন পর। মাঝখানে তো ছিলামই না। ফিরেও একটা ছবির শ্যুটিং শেষ করলাম। ইউরোপিয়ান হলিডে-র পর এ বার ফ্রেশ...

ধরে নিন এই ইন্টারভিউটা মুনমুন সেন পড়বেন না। সেটা ধরে নিয়ে বলুন কী কী করলেন ইউরোপে?

(হেসে) কিচ্ছু না। মানে এমন কিছু করিনি যা শুনে মা শক পাবে। প্রচুর ঘুরেছি। ইবিজা, বার্সেলোনা, প্রাগ, ভিয়েনা, লন্ডন প্রচুর টাকা খরচ করেছি। কিন্তু সেটা শপিং করে নয়। সবটাই ট্র্যাভেলিংয়ে। আর একটা জিনিস বুঝেছি, আই হ্যাভ চেঞ্জড।

ইউ হ্যাভ চেঞ্জড? বিশ্বাস হচ্ছে না...

সত্যি আই হ্যাভ চেঞ্জড। ইবিজাতে পাঁচ দিন ছিলাম। আমি প্রত্যেক দিন রাত দুটোর মধ্যে ব্যাক টু হোটেল। ক্যান ইউ বিলিভ দ্যাট? রিয়া অনেকক্ষণ পার্টি করত কিন্তু আমি হোটেলে। ওরা দেরি করেও উঠত। আমি একা একা হাঁটতে যেতাম সকালবেলায়। নিজের সঙ্গে অনেক কথা বলতাম।

কী বলছেন? রাইমার হলটা কী?

আমি নিজেই জানি না।

বয়স হচ্ছে তা হলে আপনার।

ইয়েস, হতে পারে। অনেক তো হল পার্টি-সার্টি। এমনিতে লোকে ইবিজা ইবিজা কেন করে কে জানে! আমার কাছে জায়গাটা ওভার-হাইপড। গ্লোরিফায়েড গোয়া। এই তো শুনলাম পার্নো (মিত্র) যাচ্ছে বেড়াতে। ওকে বললাম সে রকম কিছুই নেই।

ইবিজা যেতে হয় সতেরো-আঠারো বছর বয়সে। ইনফ্যাক্ট আমি দু’দিন পর থেকেই ঘ্যানঘ্যান করছিলাম যে আমি বার্সেলোনা যেতে চাই। আর পার্টি ভাল লাগে না আমার। ননসেন্স আর বোরিং। বলছি না বদলে গিয়েছি!

ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন, এটা কি হোয়াইট ওয়াইন না রেড ওয়াইন কা অসর...

ওয়াইন খাইনি খুব একটা।

ক’গ্লাস করে খেতেন?

(হেসে) ছাড়ুন না। তবে অনেক রকম খাবার খেয়েছি। ভিল, অক্টোপাস স্যালাড, নানা রকম স্টেক। কিন্তু রোমে গিয়ে পাস্তা বা পিত্‌জা খাইনি। প্রচুর মাছ খেয়েছি। স্পেশালি কড।

আচ্ছা যে ছবিগুলো আনন্দ প্লাস-য়ের জন্য এক্সক্লুসিভলি পাঠিয়েছিলেন ইউরোপ থেকে সেগুলোতে দেখলাম দু’জন ছেলে ছিল আপনাদের সঙ্গে।

ওরা দু’জন আমাদের কলকাতার ছোটবেলার বন্ধু। একজনের গার্লফ্রেন্ডও ছিল আমাদের সঙ্গে। কোনও স্পেশাল বন্ধু ছিল না...

এটা ইস্ট অব সুয়েজ ক্যানেল, কেউ বিশ্বাস করবে না....

সত্যি কেউ ছিল না। আর আই ওয়াজ নট লুকিং ইদার।

রাইমা সেন পার্টি না করে ঘুমোচ্ছেন, বলছেন বয়স হয়ে গিয়েছে। আপনি কি পুরনো রাইমার টুইন সিস্টার?

না না সেই রাইমা। বলছি না বদলে গিয়েছি। তবে ফ্লার্ট করেছি প্রচুর। ইবিজাতে একটা নাইট ক্লাব আছে। নাসাও বিচ ক্লাব। সেখানে ওয়েটারেরা সবাই ছেলে এবং অসম্ভব সুপুরুষ। তাঁরা আমার সঙ্গে কন্টিনিউয়াসলি ফ্লার্ট করে গিয়েছে। আমিও করেছি।

নাও ইউ আর টকিং

হুম্‌। ফ্লার্টিং চলেছে পুরোদমে। রোম-প্রাগ যেখানে গিয়েছি সেখানেই মেন হ্যাভ হিট অন মি। কিন্তু ওরা আমার থেকে বেশি ইন্টারেস্টেড ছিল রিয়াকে নিয়ে। সব জায়গাতেই রিয়া অ্যাটেনশন পেয়েছে বেশি।

আর সেটা আপনাকে বদার করেনি!

একেবারেই নয়। নট অ্যাট অল।

কখনও মনে হয়নি এত ভাল জায়গা—স্পেশাল কারও সঙ্গে আসা উচিত ছিল?

অনেক বার হয়েছে। ইনফ্যাক্ট অনেক জায়গাতেই মনে হয়েছে উইশ আই হ্যাড এ বয়ফ্রেন্ড উইথ মি। স্পেশালি রোমে। ইট ইজ সো সো রোম্যান্টিক। আমি তো দুঃখে ভেনিস আর ফ্লোরেন্স গেলামই না। ওখানে গেলে আমার মন আরও খারাপ হয়ে যেত। রিয়াকেই বলছিলাম এ রকম রোম্যান্টিক জায়গায় আমরাই শুধু দুই বোন রয়েছি। বাকিরা সবাই কাপল। তবে ডিসাইড করে ফেলেছি রোম, ফ্লোরেন্স আর প্রাগএই তিন জায়গায় আমায় যেতেই হবে আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে। হনিমুন করতে।

যাক সেটা ফিক্স করে ফেলেছেন?

হ্যাঁ, হনিমুন প্ল্যানড। আমার আর ক্যাজুয়েল সম্পর্ক, পার্টি ভাল লাগে না। এ বার কেউ যদি প্রোপোজ করে, তবে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে। নাও আই ওয়ান্ট টু গেট ম্যারেড।

দেখে তো মনে হচ্ছে আপনি ইয়ার্কি মারছেন না।

না, আমি ১০০% সিরিয়াস। ওয়ান্ট টু সেটল ডাউন। বিয়ে করতে চাই।

আমি শিওর আপনি রাইমা নন।

হাহাহাহা...সত্যি বিয়ে করতে চাই। মিউজিক ডিরেক্টর ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত খুব ভাল হাত দেখে। ও আমাকে বলেছে সামনের নভেম্বর থেকে পরের ডিসেম্বর আমার বিয়ের যোগ আছে।

তাই শুধু ব্যাচেলর ইন্দ্রদীপের জন্য কিউবান সিগার নিয়ে এসেছিলেন ইউরোপ থেকে?

ইয়েস, অফকোর্স। একমাত্র ইন্দ্রদীপের জন্য। আর কারও জন্য কিছু আনিনি। এক মাস দিল্লিতে থাকছি। দেখি কেউ প্রোপোজ করে কি না?

এই ইউরোপ ট্রিপে কেউ প্রোপোজ করল না?

না, কেউ প্রোপোজ করল না। কারও সঙ্গে নম্বর এক্সচেঞ্জ করিনি। আর আমি তো বিদেশি ছেলে বিয়ে করতে চাই না। ভারতীয় হতেই হবে।

বাঙালি না হলেও চলবে?

বাঙালি হলে ভাল, না-হলেও কোনও অসুবিধে নেই। আর অ্যাক্টর হলে চলবে না। অ্যাক্টররা সারা দিন নিজেদের নিয়ে অবসেসড্। আর আমি একজন অ্যাক্টরকে বিয়ে করলে সে-ও নিজেকে নিয়েই অবসেসড্ থাকবে, সেটা আমি চাই না। এই প্রফেশনের কাউকেই চাই না। বিজনেসম্যান হতে পারে। টপ আইটি প্রফেশনাল হতে পারে। আপনি একটু খুঁজে দেবেন প্লিজ?

আনন্দplus-এ বলেই দিলাম। আপনারা প্লিজ অ্যাপ্লিকেশন পাঠান...

দেব তো ভেঙে পড়বে। ওই রোম্যান্সটা তা হলে আর এগোল না।

না, এগোল না। আর ও তো শুনলাম এনগেজড্ হয়ে গিয়েছে।

মানে?

ইয়েস, হি গট এনজেগড্। আমাকে খুব রিলায়েবল সোর্স সেটা বলেছে।

এটা শুনে মনে হচ্ছে পুরনো রাইমা...

দাঁড়ান, দাঁড়ান। দেবকে ফোন করে বলি আনন্দplus-কে জানিয়েছি।

(ব্ল্যাক কফি রেখে সঙ্গে সঙ্গে নিজের আইফোন থেকে দেবকে ফোন করেন রাইমা। লাদাখে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না বলে দু’-তিনবার চেষ্টা করে ধরলেন দেবকে।

‘শোনো, আমি আনন্দplus -কে কিন্তু বলে দিয়েছি ইউ হ্যাভ গট এনগেজড। প্লিজ ডোন্ট গেট অ্যাংগ্রি না।’ বলে ফোন রেখে দিলেন তিনি)

(পরে দেবের ফোন এসেছিল। বক্তব্য একটাই “যত সব ননসেন্স। আচ্ছা, সকাল সকাল রাইমার বাড়ি যাওয়ার অ্যাসাইনমেন্টটা আপনাকে কে দিয়েছিল বলুন তো !”)

এটা তো খুব বড় খবর।

তা হলে! রাইমা সেন কখনও ছোট খবর দেয় না।

আচ্ছা, এই যে ইউরোপ ঘুরলেন, দিনে কত বার মুনমুন সেন ফোন করতেন?

না, মা খুব একটা ফোন করেনি। দু’দিনে একবার করত। বাবা ফোন করত প্রায়ই। আমি ভেবেছিলাম, অনেক টাকা বিল উঠবে এই তিন সপ্তাহে। কিন্তু খুব একটা বেশি ওঠেনি।

কত বিল হল?

৩৬ হাজার। আমি ভেবেছিলাম লাখ টাকার উপরে হয়ে যাবে। সেটা হয়নি।

আর শপিং?

সে রকম শপিংও করিনি। টুকটাক ট্যুরিস্টি জিনিস কিনেছি, ফ্রিজ ম্যাগনেট জাতীয়। তবে মায়ের জন্য তিনটে ভাল পেন্টিং কিনেছি। কয়েকটা বুকমার্ক এনেছি, কারণ মায়ের সেগুলো লাগে।

বাবার জন্য হুইস্কি, শট গ্লাস আর টাই। আর মা আমাদের নিয়ে খুব একটা টেনশন করেনি। মা নিজেই এত ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। দেখাই হয় না মায়ের সঙ্গে । হয় দিল্লি, নয় বাঁকুড়া।

দিল্লির অনেকেই বলছেন, মুনমুন সেন ইজ দ্য কুইন বি ইন পার্লামেন্ট। পুরুষ এমপিরা নাকি মুনমুন সেনের আশেপাশে ঘুরছে।

তাই? কে কে?

শশী তারুরের সঙ্গে মুনমুন সেনের ছবি তো আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতাতেও বেরিয়েছে...

...বাট হি ইজ সো সো সেক্সি। খুব চার্মিং শশী তারুর। আমার সঙ্গে একবার দেখাও হয়েছিল টলি ক্লাবে। হি টোল্ড মি, ‘আমি তোমার মাকে চিনি। মায়ের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে পড়তাম।’ আমি তখন চিনতাম না । বাট হি ইজ সুপার চার্মিং।

আচ্ছা, এই যে বদলে গিয়েছেন, এর সঙ্গে কোনও ভাবে এই বছরের শুরুতে দিদিমার মৃত্যুর কোনও যোগ আছে?

জানি না জানেন, থাকতেও পারে। হয়তো নিজের রেসপনসিবিলিটি বুঝেছি আজকে। এই যে এক মাসের জন্য শ্যুটিংয়ে যাচ্ছি, তাতে ২৮ সেপ্টেম্বর বাবার জন্মদিনটা মিস করতে হতে পারে। তাও চেষ্টা করছি যদি একদিনের জন্যও আসা যায়। আগে এগুলো নিয়ে ভাবতাম না। আজ ভাবি। সত্যি, কোথাও একটা ভেতর থেকে বদলে গিয়েছি আমি।

রাইমা সেন ভার্সন ২.০, আপনার সঙ্গে কথা বলে ভাল লাগল।

(হাসি) থ্যাঙ্ক ইউ। বর খুঁজতে ভুলে যাবেন না ... আর দেব রেগে গেল কি না সেটা জানাবেন...

পায়েল সরকার

শনিবার সকাল। রুবি হসপিটালের কাছে গেটওয়ে হোটেলের কফিশপে ক্যাপুচিনো অর্ডার করেছেন। ‘সুগার ফ্রি প্লিজ’ ধীরে বলেন ওয়েটারকে।

সামনে টিভিতে তখন কাশ্মীরের বন্যার খবর। এর মধ্যেই পায়েল সরকারের সামনে ফোনের রেকর্ডার রাখা হল। শুরু হল কথাবার্তা:


পায়েল

হঠাত্‌ করে আপনি লাইমলাইটে। পুজোতে দুটো ছবি রিলিজ?

হ্যাঁ। সৃজিতের ‘চতুষ্কোণ’ আর জিতের সঙ্গে ‘বচ্চন।’ নভেম্বরে বোধ হয় কুণাল খেমুর সঙ্গে হিন্দি ছবিটাও মুক্তি পাবে। ডিসেম্বরে ‘এবার শবর’। তার পর জানুয়ারিতে পরমের ‘লড়াই’। এতগুলো ছবি রিলিজ আগামী তিন চার মাসে, ফিলিং গুড।

আপনি তো আজকাল দক্ষিণ কলকাতায় শিফ্ট করে গিয়েছেন?

হ্যাঁ। আগে তেঘরিয়াতে থাকতাম। কিন্তু যাতায়াতে অনেকটা সময় চলে যেত। এখন রুচিরাতে থাকি।

একা?

হ্যাঁ একা। আমি আমার দিদার খুব ক্লোজ ছিলাম কিন্তু এই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি দিদা মারা যান। দিদা থাকলে দিদার সঙ্গেই থাকতাম। এখন একা থাকি। মা-বাবা তেঘরিয়াতেই।

আপনার একা থাকার খবরটা তো এখনও চাউর হয়নি টলিউডে।

(হেসে) না হয়নি। খুব কম লোক জানে এখনও অবধি। যত কম লোক জানে, তত ভাল।

পুজোর সময় তো আপনার পুরনো ‘বন্ধু’ রাজ চক্রবর্তীর ‘যোদ্ধা’ মুক্তি পাচ্ছে।

আই উইশ হিম ওয়েল। চাইব আমার ছবি যেমন চলুক, তেমনই ওর ছবিও চলুক।

এখন আপনার আর রাজের সম্পর্ক নর্মাল?

দেখুন নর্মাল মানে আমরা একে অপরের প্রতি কর্ডিয়াল। ব্যস, এর বাইরে কিছু নয়।

কিন্তু ওর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্য তো মাঝখানে আপনার কেরিয়ারে ক্ষতি হয়েছিল। সবাই আপনাকে রাজ চক্রবর্তীর গার্লফ্রেন্ড বলত।

এগজ্যাক্টলি। আর আমি চাইতাম না ওই পরিচিতিটা। অবশ্যই আমার কেরিয়ারের ক্ষতি হয়েছে ওই সম্পর্কটার জন্য। সেই সময় কাজও কমিয়ে দিয়েছিলাম। দ্যাটস আ থিং অব দ্য পাস্ট। আই ডোন্ট রিগ্রেট এনিথিং।

আজ ফিরে দেখলে কী মনে হয়? আপনি রাজের জীবনের একটা কঠিন সময়ে এসে পড়েছিলেন?

আমার মনে হয় তাই। সেই সময় ও সেপারেটেড ছিল, ডিভোর্স হয়নি। নানা ফ্লাকচুয়েশনস হত।

হঠাত্‌ করে দেখতাম পাঁচ মাস ধরে ওর তখনকার ওয়াইফ শতাব্দীর সঙ্গে কথা নেই। তার পর এক দিন হঠাত্‌ শুরু হয়ে গেল কথাবার্তা। এই দোলাচলটা আমি নিতে পারছিলাম না। উই হ্যাড মেজর ফাইটস। মা-বাবাও চিন্তিত ছিলেন। বাট আজকে উই আর কর্ডিয়াল। শুনলাম ও আর মিমি কিছু দিন পর বিয়ে করবে। আই ওয়ান্ট দেম টু বি রিয়েলি হ্যাপি।

শুনলাম ‘কাটা মুন্ডু’ বলে একটা ছবিতে রাজ আপনাকে আর মিমিকে একসঙ্গে কাস্ট করছেন?

হ্যাঁ, করছি ওই ছবিটা একসঙ্গে।

সেটা আনকমফর্টেবল জোন মনে হয় না? প্যাক আপের পরে আপনার সামনে রাজ তো মিমির সঙ্গে ডিনার খেতে যেতে পারেন।

সত্যি বলছি, আমার কোনও অসুবিধে নেই। আই অ্যাম ওভার উইথ হিম। আর আমার কিছু মনে হয় না।

আপনিও তো শুনলাম প্রেম করছেন।

(হাসি) কার সঙ্গে?

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

দেখুন, সৃজিত ইজ সুপার সুপার ট্যালেন্টেড। ইয়েস আই লাইক হিম আ লট। বাট প্রেম করছি কি না সেটা বলার সময় হয়তো এখনও আসেনি। কিন্তু ইয়েস, আই লাইক হিম ডেফিনিটলি।

সৃজিতের পরিবার তো চায় শুনলাম ও সেটেলড হোক?

ইয়েস। অ্যাবসোলিউটলি। ও নিজেও সেটা চায় অ্যান্ড হি শুড, বয়সও তো হচ্ছে (হাসি)। আর আমিও ভাবছি সেটল করব। এ বার বিয়ে করে নিতে হবে।

সেটা কার সঙ্গে?

ওহ্‌, আবার কেন? হলে তো জানতেই পারবেন। (হাসি)

অনেকক্ষণ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বললেন। সো আর ইউ অ্যান্ড সৃজিত এ কাপল।

নো।

কিন্তু সৃজিতের তো প্রচুর বন্ধু। ওঁর রেপুটেশন আপনাকে বদার করে না?

আরে আজ কালকার দিনে ও রকম রেপুটেশন কার নেই বলুন? ওটা নিয়ে ভাবতে চাই না। এবং আমার ধারণা আমরা সবাই ম্যাচিওর্ড। সম্পর্কের লিমিটেশনগুলো আমরা সবাই জানি।

আপনি একা থাকেন। রুচিরার সামনে কি সৃজিতের এটিওস প্রায়ই পার্ক করা থাকে?

না, সৃজিত কোনও দিন আমার বাড়ি আসেনি। আমি গিয়েছি ওর বাড়িতে দু’বার। (হাসি)

হুমমম্‌।

এবং ওর মা ছিল তখন বাড়িতে। (হাসি)

সবাই বিয়ে করে নিচ্ছে টালিগঞ্জে? হলটা কি টলিউডের?

হাহাহাহা। ভালই তো হল।

রাজ-মিমির বিয়েতে যাবেন?

নেমন্তন্ন করলে নিশ্চয়ই যাব।

একটা সময় খবর ছিল ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সঙ্গে নাকি আপনার প্রেম?

কোথায়? ইন্দ্রদীপ তো বলেই দিয়েছে আমি ওর বোনের মতো।

আপনি বিয়ে করলে ইন্দ্রদীপের কী হবে?

(হাসি) ইন্দ্রদীপ নিতবর।

সৃজিত বললেন

“ দেখুন, আই অ্যাম ম্যারেড টু সিনেমা। কিন্তু এর সঙ্গে এটাও ঠিক, আস্তে আস্তে সেটল ডাউনের সময় কাছে আসছে। আমার জীবন নামক সিনেমার ইন্টারমিশন হয়ে গিয়েছে। আমার এখন সেকেন্ড হাফ চলছে, কাজেই আস্তে আস্তে জমজমাট ক্লাইম্যাক্সের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়। কে, কবে, কী ভাবে, কখন সেটা জানি না। একটাই ব্যাপার জানি এবং আমি নিশ্চিত যাকেই বিয়ে করি সে টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ হবে না।”

এ বার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। মাঝখানে শুনেছিলাম আপনি সব সময় হিরোইন হিসেবে ‘প্রোডিউসরস চয়েস’। ‘চতুষ্কোণ’য়ে এক প্রোডিউসরের জন্য আপনি ফিল্মটা পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্য একজন প্রোডিউসর নাকি আপনার ‘বিশেষ’ বন্ধু...

কোন ফিল্মে কাস্টিং কী হল সেটা তো প্রোডিউসর ঠিক করবেই। আমি এর মধ্যে কী ভুল জানি না। আর কোনও প্রোডিউসরই আমার বিশেষ বন্ধু নয়। কমপ্লিটলি বাজে কথা।

মানে আপনাকে সাদা হোন্ডা অ্যাকর্ড কোনও প্রোডিউসর গিফ্ট করেননি?

আপনাকে চাইলে গাড়ির কাগজ দেখিয়ে দিতে পারি। প্রচুর কষ্ট করে কিনেছি গাড়িটা। কোনও ভাবেই কোনও প্রোডিউসর আমাকে গাড়ি দেয়নি।

এটাও তো শুনি সেই প্রোডিউসর নাকি আপনাকে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিলেন?

জানি না, কে বলছে এ সব কথা। আমেরিকাতে ‘ক্রস কানেকশন’ ছবির স্ক্রিনিং হয়েছিল। আমি সেটাতে গিয়েছিলাম। আর যে ট্রিপের কথা আপনি বলছেন, সেটায় সেই প্রোডিউসরের স্ত্রী আর মেয়েও ছিল।

পায়েল সরকার নাকি খুব নাক উঁচু। স্নুটি। কাউকে বিশেষ পাত্তা দেন না।

দেখুন, আমি খুব সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারি না। কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে একটা ওয়েভলেন্থের দরকার। আমার বাবা-মা অ্যাকাডেমিক্যালি খুব স্ট্রং। বাবা ম্যাট্রিকে স্টেট টপার ছিলেন। আমি নিজেও সময় পেলে বই পড়ি। ভাল সিনেমা দেখি। হয়তো এ সবের জন্যই লোকে আমাকে স্নুটি বা নাক উঁচু ভাবে।

শুভশ্রী, শ্রাবন্তীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? বন্ধুত্বপূর্ণ?

না, একেবারেই বন্ধুত্ব নেই আমার। পার্নো আমার ভালই বন্ধু। ওর সঙ্গে আমার গল্প হয়।

শেষ প্রশ্ন। আপনি কি জানেন ‘চতুষ্কোণ’য়ে আপনাকে কাস্ট করার আগে সেই রোলটা সৃজিত অফার করেছিল পাওলিকে?

ইয়েস জানি। কিন্তু একটা ছবির আগে ডিরেক্টর নানা অপশনের কথা ভাবতে পারে। এবং লাস্ট অবধি সৃজিত তো রোলটা আমাকেই অফার করল।

হুমমম্...

(হেসে) হুমমম্।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE