ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন নাকি সব কথা চুপচাপ শুনে নেন। তার পর সেই সব কথা তাঁর নিজের মধ্যেই থেকে যায়! বাইরে বেরোয় না। ছেলের বৌ সম্পর্কে কয়েক বছর আগে এমনই মন্তব্য করেছিলেন স্বয়ং জয়া বচ্চন। তখন তিনি বলেছিলেন, বৌমা বাড়ি এসে কন্যা শ্বেতার জায়গা যেন পূরণ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেছিলেন, “পারিবারিক জমায়েতে ঐশ্বর্যা অতিরিক্ত কথা বলে না। ও খুব ভাল করে জানে কারা বচ্চন পরিবারের ভাল বন্ধু।” পুত্রবধূকে নিয়ে এমন প্রশংসা করেন জয়া নিজেই। যদিও তখন সদ্য বিয়ে হয়েছে ঐশ্বর্যা-অভিষেকের, প্রায় ১৭ বছর আগের কথা। তখনই নাকি শ্বশুরবাড়ির মন রাখার জন্য কিছু করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক মাস ধরেই অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের মধ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। মাস কয়েক আগে শোনা যায়, ঐশ্বর্যা তাঁর মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে বচ্চনদের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ওঠেন নিজের মায়ের কাছে। জুলাই মাসের শুরুতে অনন্ত অম্বানী-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিল গোটা বচ্চন পরিবার। ছেলে-মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনিকে নিয়ে বিয়েবাড়িতে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা দেন জয়া-অমিতাভ। পারিবারিক সেই ছবিতে ছিল না শুধু অভিষেক-কন্যা আরাধ্যা ও তার মা। খানিক পরে অবশ্য ঐশ্বর্যা-আরাধ্যা আসেন, ছবিশিকারিদের জন্য মিষ্টি হেসে দাঁড়ান। ঐশ্বর্যা বরবরই নিজের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছেন সকলের সামনে। বিয়ের পরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, শ্বশুরবাড়ির যোগ্য বৌ হতে কিংবা সন্তানের জন্য নিজের আত্মত্যাগ করবেন কি না! তাতেই অভিনেত্রী সাফ জানান, নিজের অস্তিত্বকে খাটো করে জীবনে কোনও কাজ করবেন না।
যদিও ২০১১ সালে মেয়ে আরাধ্যার জন্মের পর থেকেই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। অভিনেত্রীর জীবন এখন মেয়েকে ঘিরেই যেন আবর্তিত। সন্তান মানুষ করার প্রায় পুরো দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন। মা হিসেবে ঐশ্বর্যা যে অসাধারণ, সে কথা অভিষেক নিজেই বলেছেন।