বাতিল করা হয়েছে তাঁর এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার), বৃহস্পতিবার নিজেই জানিয়েছিলেন স্বরা ভাস্কর। তাঁকে হেনস্থা করার জন্যই নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এক্স হ্যান্ডল। এই দাবিতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। শুক্রবার স্বরা জানালেন, এই ঘটনায় নাকি রয়েছে আরও নাটকীয়তা। তাঁর এক্স হ্যান্ডল নাকি হ্যাকড হয়ে গিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে স্বরা লেখেন, “এখন মনে হচ্ছে আমার এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়ে গিয়েছে।” ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস নিয়ে পোস্ট করেছিলেন স্বরা। তার পরেই তাঁর কাছে আসে স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনের বার্তা। ৩০ জানুয়ারি নিজে থেকেই নাকি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘লগড আউট’ হয়ে যান স্বরা। তার পরেই এক্স হ্যান্ডলের তরফ থেকে এসেছিল স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনের বার্তা। তার পরে আর নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার এক্স কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেও, স্বরার বর্তমান উপলব্ধি, তাঁর অ্যাকাউন্টটাই কোনও ভাবে হ্যাকড হয়েছে। স্বরা জানতে পারেন, কোনও ভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে নানা রকমের বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গেই স্বরা শুক্রবার জানান, “আমি কাউকে কোনও রকমের বার্তা বা আমন্ত্রণ পাঠাইনি। আমার অ্যাকাউন্টটা এখনও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্ট আমি ব্যবহার করতে পারছি না। মনে হচ্ছে আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে।”
সাধারণতন্ত্র দিবসে দুটি ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বরা। একটিতে ছবিতে কমলা রঙের উপর দেবনাগরী ভাষায় লেখা ছিল, ‘গান্ধী হম শরমিন্দা হ্যায়, তেরে কাতিল জ়িন্দা হ্যায়’। এই ছবির উপরে স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় স্বরা বলেছিলেন, “এ তো আন্দোলনের অতি পরিচিত স্লোগান। এর মধ্যে স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ কোথা থেকে আসছে।” স্বরা নিজের কন্যার একটি ছবিও ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই ছবির বিরুদ্ধেও ওঠে স্বত্বাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। অভিনেত্রী ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, “দুটি অভিযোগই হাস্যকর। এর কোনও যুক্তি নেই। মানুষের ‘রিপোর্ট’-এর দ্বারা যদি এই অভিযোগ আনা হয়ে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে হেনস্থা করার উদ্দেশ্য নিয়েই এটা করা হয়েছে।” অবশেষে স্বরা বুঝতে পারেন, আসলে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়। অন্য কেউ তাঁর নাম করে এমন কিছু বার্তা ছড়াতে থাকে যার ফলে অ্যাকাউন্টটি তিনি আর ব্যবহার করতে পারছেন না।