সম্পর্কের সমীকরণ বিশ্লেষণে চূর্ণী এবং জয়া। ছবি: সংগৃহীত।
এই প্রথম তাঁরা একসঙ্গে বড় পর্দায়। চরিত্রে এক জন প্রাক্তন স্ত্রী। অন্য জন বর্তমান। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার রহস্য কী? বিবাহবিচ্ছেদ কতটা প্রাসঙ্গিক? সম্পর্ক নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মনোভাবই বা কী রকম? সম্প্রতি এক বিকালে আনন্দবাজার অনলাইনের সামনে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে তাঁদের মত জানালেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয়া আহসান ।
প্রশ্ন: আপনাদের তো দীর্ঘ দিনের পরিচয়। কিন্তু দু’জনের প্রথম আলাপ মনে আছে?
চূর্ণী: খুব মনে আছে। কৌশিক (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) তখন সবেমাত্র ‘বিসর্জন’-এর চিত্রনাট্য লিখেছে। আমি জানি, জয়া আমাদের বাড়িতে আসবে। মনে আছে, ও খুব সুন্দর একটা লেসের টপ পরেছিল। চিত্রনাট্য পড়া শুরু হল। এ দিকে আমাকে একটা কাজে বাইরে যেতে হয়েছিল। আমি ওকে বলে গিয়েছিলাম যে, এটা ওর জীবনের অন্যতম সেরা চরিত্র হতে চলেছে। শুধু শুনে দেখো। ফিরে এসে... (জয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলেন)
জয়া: তখন কান্নাকাটি শেষ হয়েছে। আমার চোখে জল। কৌশিকদা কাঁদছেন। তার পর তো আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া শুরু করলাম। এখনও মনে পড়ে সেই দিনটার কথা।
প্রশ্ন: ছ’বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘বিসর্জন’। এখন আপনাদের বন্ধুত্ব কতটা গাঢ় হয়েছে?
জয়া: আমার মনে হয়, কোনও একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা ক্রাইসিস নিয়ে যখন দু’জন মানুষ ভাবেন, তখন তাঁদের সম্পর্কটা আরও নিবিড় হয়। সেটা আমাদের ‘বিসর্জন’-এর আউটডোর শুটিংয়ের সময়ই হয়ে গিয়েছিল। ছবিতে চূর্ণীদি আমার লুকসেট করেছিলেন। তখন থেকেই আমরা একটা টিম হয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন দেখা না হলেও জানি, তিনি আছেন। আমার কাছে এটা একটা বড় ভরসার জায়গা।
প্রশ্ন: চূর্ণীর ছবিতে তো এখনও দর্শক আপনাকে দেখলেন না।
জয়া: পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের আমি একজন ভক্ত। দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে। সে কথা আমি দিদিকে একাধিক বার বলেওছি। মহিলাদের মনস্তত্ত্ব কৌশিকদা খুব ভাল বোঝেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও একজন নারীর চোখ দিয়ে নারীকে দেখার মধ্যে একটা অন্য আঙ্গিক পাওয়া যায়। চূর্ণীদির ‘নির্বাসিত’ বা ‘তারিখ’-এর মতো ছবি দেখার পর ইচ্ছেটা আরও প্রবল হয়েছে।
চূর্ণী: ওর সামনেই বলছি, জয়াকে নিয়ে আমারও ছবি করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেটা কবে হবে, এখনই জানি না। আর বন্ধুত্বের প্রসঙ্গেই বলি, আমার একটা চার পায়ের বাচ্চা ছিল ‘জেট’। ওর চার পায়ের বাচ্চাটির নাম ‘ক্লিও’। এদের নিয়ে গল্প করেই আমাদের অধিকাংশ সময় কেটে যেত। আর জয়া খুব ভাল করে জানে, কৌশিকের মন কী ভাবে জয় করতে হয়...
প্রশ্ন: কী ভাবে? একটু জানতে চাই...
চূর্ণী: (হেসে) বাংলাদেশ থেকে ও খাবার রান্না করে নিয়ে আসত। আর আমরা সেটা সবাই সপরিবার বসে খেতাম।
জয়া: আমি কিন্তু কলকাতায় এলেই খাবার নিয়ে আসি। আমার ফ্রিজ খুললেই তার প্রমাণ মিলবে। মা যত্ন করে বাড়ির রান্না প্যাক করে দেন।
চূর্ণী: আরও একটা জিনিস বলি। আমি যখন পরিচালনা করি, তখন আমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রেমে পড়ে যাই। ‘বিসর্জন’-এ কৌশিক শুধু শুট করার পর আমাকে বাকিটা দিয়ে দিয়েছিল। সম্পাদনা, আবহসঙ্গীত বা জয়ার কোন শট থাকবে বা কোনটা বাদ যাবে... সবটাই আমি করেছিলাম। তাই জয়ার সঙ্গে আমার প্রেমটা অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে (হাসি)।
প্রশ্ন: চূর্ণী ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিতে জয়াকে নির্বাচন করার পিছনে আপনার অবদান কতটা?
চূর্ণী: এটা কৌশিকের সিদ্ধান্ত। টিম হিসেবে আমি, কৌশিক এবং উজান (কৌশিক এবং চূর্ণীর পুত্র) এখন কাজ করতে শুরু করেছি। তবে এই ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় আমার বিপরীতে কৌশিক জয়াকেই ভেবে লিখেছিল। সেটা আমাকে ও বলেওছিল। তাই জয়ার কাছে প্রস্তাব যাওয়ার অনেক আগে থেকেই জানতাম যে, আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চলেছি।
প্রশ্ন: এই ছবির একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ। অতীত প্রজন্মের সঙ্গে তুলনায় আজকের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ সংখ্যায় অনেকটাই বেড়েছে। এর পিছনে কারণ কী?
চূর্ণী: প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সেই কারণটা আলাদা। তাই সকলের হয়ে কিছু বলাটা খুব কঠিন। তবে বিয়ে মানে তো মানিয়ে নেওয়া। এ বার ‘কম্প্রোমাইজ়’ এবং ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’— এই দুটো শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মানিয়ে নেওয়া এবং কোথায় আমি বেশি আপস করছি, সেই সীমারেখা নির্ধারণে আজকে কোথাও হয়তো সহনশীলতার মাত্রাটা কমে গিয়েছে।
প্রশ্ন: এর পিছনেও কি নির্দিষ্ট কোনও কারণ রয়েছে?
চূর্ণী: (একটু ভেবে) হয়তো তার পিছনে ‘নারী স্বাধীনতা’ একটা বড় কারণ। আজকে মহিলারা স্বাধীনচেতা, সমাজে নারীশিক্ষার হার বেড়েছে। সেখানে মানিয়ে নেওয়াটা কোথাও হয়তো তাদের কাছে আপস বলে মনে হচ্ছে। আমি বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে বা বিপক্ষে নই। কিন্তু যে কোনও সম্পর্কে যদি বিচ্ছেদ হতে পারে, তা হলে বিবাহবিচ্ছেদই হবে না কেন।
প্রশ্ন: জয়া, আপনি এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চান?
জয়া: দিদি যা বলেছেন, তার বাইরে আমি এই বিষয়ে আলাদা করে খুব একটা কিছু বলতে চাই না।
প্রশ্ন: এই প্রজন্মের দম্পতি বা যুগলদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কী কী পরামর্শ দেবেন?
জয়া: আমার মনে হয়, আমরা বড্ড বেশি প্রযুক্তির দাস হয়ে উঠেছি। ফলে জীবনের প্রধান মূল্যবোধগুলোর দিকে হয়তো আমরা তাকাতে পারছি না। মানুষ ছাড়া তো মানুষ বাঁচতে পারে না। দেখলে মনে হয়, আজকে সবাই বড্ড আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এই প্রজন্মের একটা বড় অংশ। আগে যে কোনও সমস্যায় সবাই একজোট হয়ে মোকাবিলা করতেন। কিন্তু এখন প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে, ‘‘তাতে আমার কী লাভ?’’ তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারিবারিক শিক্ষা বা মূল্যবোধের একটা বড় গুরুত্ব রয়েছে। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আমার মনে হয়, সহনশীলতা প্রয়োজন। দাম্পত্যের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বটাই আসল। দখল করার মানসিকতা থাকলে আমার মনে হয়, সেখানে ভালবাসাটা কমে যায়।
চূর্ণী: সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ধৈর্য ধরতেই হবে। সম্পর্কে অবশ্যই সময় দিতে হবে। তবে আমার মনে হয়, আপস তত ক্ষণই করা উচিত, যত ক্ষণ নিজের সমস্ত সত্তাকে বিসর্জন দিতে হচ্ছে। যদি দেখা যায় পরিবেশ এতটাই বিষিয়ে উঠছে যে, কেউ মানুষ হিসেবেই বাঁচতে পারছেন না, তা হলে আমার মতে সেই সম্পর্ক থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত।
প্রশ্ন: জয়া, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও কি এই ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়েছে?
জয়া: বাংলাদেশ বলে নয়, একটু খুঁটিয়ে দেখলে যে কোনও সমাজেই সেটা লক্ষণীয়। সম্পর্ক বা দাম্পত্যের আরামটাই হয়তো অনেক সময় তাঁরা বুঝতে পারেন না। খুবই চটজলদি হয়তো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই তো ক্ষমা, রাজি করানো বা মানিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
চূর্ণী: প্রযুক্তির কারণে আজকে একটা সম্পর্ক অনেক দ্রুত যেমন তৈরি হচ্ছে, তেমনই সেটা ভাঙতেও বেশি সময় লাগছে না। অনেক সময় একটা ফোন বা একটা মেসেজ করেই হয়তো সম্পর্কে ইতি টানছেন কেউ কেউ।
জয়া: আগেকার দিনে কিন্তু সম্পর্ক গড়া বা ভাঙার মধ্যে এক রকমের অপেক্ষা কাজ করত। কাউকে একটা প্রেমপত্র দিতে হলে হাজার একটা পরিকল্পনার পরে সেটা কাছের মানুষের হাতে পৌঁছত। পাশের বাড়ির ভাল লাগার মানুষটাকে লুকিয়ে দেখতে ঠিক বিকেলে ছাদের পাঁচিলে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকা...। অপেক্ষাতেই তো প্রেম বাড়ে। আমাদের সাহিত্য বা অতীত সংস্কৃতিতেই তো সে কথা বলা আছে।
চূর্ণী: একটা মেসেজ পাঠিয়ে কাউকে যদি ইতি টানতে হয়, আমি ভাবি, হয়তো আগের সময় হলে মানুষটা হাতে সময় পেত। রাগ কমলে হয়তো আবার তার মনে ঘরে ফেরার ইচ্ছা জেগে উঠত। আজকে আমাদের চারপাশে এই সময়টারই বড্ড অভাব।
জয়া: আমার মনে হয়, সমাজমাধ্যমের বাড়বাড়ন্তে ভালবাসাটাই বড্ড যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে।
চূর্ণী: একদমই তাই। তার সঙ্গে বেড়েছে সেল্ফ অবসেশন! সবটাই লাইক, শেয়ার, ফিল্টার আর রিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে! ভাবলে সত্যিই আমার খারাপ লাগে।
জয়া: আসলে প্রথম প্রেমে পড়ার মধ্যে একটা অন্য রকমের ভাল লাগা কাজ করে। সেই স্মৃতি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা সে দিক থেকে দেখি খুব হিসেবি। ওদের বলতে শুনি, ‘‘না না! এখন প্রেম করব না। এখন তো শুধু আমরা ডেট করছি। প্রেম তো নয়!’’ ঘুরবে, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবে— কিন্তু ওরা প্রেম করবে না।
প্রশ্ন: বিগত তিন বছরে আমরা অতিমারির সঙ্গে লড়াই করেছি। বলা হয়, লকডাউন যেমন অগণিত সংসার বাঁচিয়েছে, তেমনই আবার অনেক সম্পর্কও ভেঙেছে। আপনাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বিষয়টাকে কী ভাবে বিচার করবেন?
চূর্ণী: ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমাদের বন্ধন অনেকটাই পোক্ত হয়েছে। আবার এটাও শিখেছি যে, একে অপরকে কী ভাবে সমঝে চলতে হয়। কারণ হঠাৎ করে একসঙ্গে এক ছাদের নীচে এতগুলো মাস, যেখানে একে অপরের থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনও অবকাশ নেই— ফলে মতের অমিল হলে শিখেছি, কী ভাবে তখনই তার সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়।
প্রশ্ন: আর যাঁরা এই যুদ্ধে হেরে গেলেন?
চূর্ণী: যাঁরা সম্পর্ক টেকাতে পারেননি, তাঁরা হয়তো ভবিষ্যতে কোনও একটা সময়ে সমস্যার সম্মুখীন হতেনই। ভবিষ্যতের বিপদ থেকে হয়তো তাঁরা অনেক আগেই সুরক্ষিত হলেন।
জয়া: আমার পরিচিত কোনও মানুষের জীবনে আমি এ রকম ঘটনা সেই সময় দেখিনি। তবে শুনেছি। আসলে আমি সব কিছুকে একটু ইতিবাচক দিক থেকে দেখতে পছন্দ করি। তাই লকডাউনে ভাঙা সম্পর্ক জুড়তেও দেখেছি। আসলে ভালবাসা দিয়ে সব বিপদকেই অতিক্রম করা সম্ভব। মহিলাদের ক্ষেত্রে তাঁদের ভালবাসার মানুষ সম্পর্কে একটা অভিযোগ থাকে, ‘‘মানুষটাকে কাছে পাই না!’’ লকডাউন কিন্তু এই অভিযোগটিকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছিল।
চূর্ণী: এই প্রসঙ্গে আমি আরও একটা জিনিস উল্লেখ করতে চাই। স্বামী-স্ত্রী, একত্রবাস করছেন, এমন যুগল বা কোনও সমকামী যুগল— প্রত্যেকের ক্ষেত্রে বর্তমান সমস্যায় মনোনিবেশ করা উচিত। কবে কে কী কী ভুল করেছিল বা কে কাকে কী ভাবে সাহায্য করেছিল, অতীতের সেই হিসেবের খাতা বের করে সম্পর্কের রসায়ন বিচার করলে সম্পর্ক আরও বিষিয়ে যায়। তা হলে তো মানুষ ভুল করতেই ভয় পাবে! মানুষ হিসেবে তো আমার ভুল করার অধিকারও রয়েছে।
প্রশ্ন: ছবির ট্রেলারে জয়ার সংলাপ ‘‘আমার জন্য তো তোমার সংসার ভাঙেনি দিদি!’’ বা চূর্ণী আপনার সংলাপ ‘‘প্রাক্তন স্ত্রী মহাজনের মতো’’ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। আপনাদের মতে, যে কোনও সম্পর্কে ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে কি যোগাযোগ রাখা উচিত?
চূর্ণী: কঠিন প্রশ্ন। আমাদের ছবির আঙ্গিকে বলতে পারি, যদি দুই স্ত্রীর মধ্যে অসুবিধা না থাকে, তা হলে যোগাযোগ রাখাই যায়। তবে বর্তমান স্ত্রীর অজান্তে কেউ যদি প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, সেটা উচিত নয়।
জয়া: চূর্ণীদি খুব সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তরটা দিলেন। অজান্তে যোগাযোগ তৈরি হলে, নিরাপত্তাহীনতা আসাটা স্বাভাবিক।
প্রশ্ন: ট্রেলারে আপনাদের দু’জনের মধ্যে একটা কড়া ডুয়েলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই দৃশ্যগুলোয় অভিনয় করা কতটা সহজ বা কঠিন ছিল?
জয়া: আসলে কৌশিকদার চিত্রনাট্যে এত সুন্দর করে প্রতিটা ধাপ লেখা থাকে যে, কোনও সমস্যা হয় না। কোথাও সমস্যা হলে, সেই দৃশ্যে কৌশিকদার ভাবনাটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করতাম। ব্যস, এটুকুই (হাসি)।
চূর্ণী: জয়া এটা বলল বটে, তবে আমার কাছে জয়ার সঙ্গে অভিনয় করাটা কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জয়া: (হাসতে হাসতে) কী যে বলো তুমি! আর কত মিথ্যে বলবে।
চূর্ণী: সত্যি বলতে, ওর সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করে আমার একটা আনন্দের অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশা করছি, সেই অভিজ্ঞতা এ বার দর্শকও বড় পর্দায় উপলব্ধি করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy