ইন্দ্রাণী দত্ত।
খুব মনখারাপ। লকডাউনে ছ’মাস নাচের স্কুল বন্ধ। সারা বছর শো করেন। অতিমারিতে সে সব নেই-ই। অনলাইন ক্লাস দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। কবে আবার আগের মতো পারফর্ম করতে পারবেন সেই আক্ষেপ ছিল ইন্দ্রাণী দত্তের। মনখারাপের পালা যদিও শেষ। এক্ষুণি নাচের শো নিয়ে দেশ-বিদেশে না যেতে পারলেও ছোট পর্দায় ফিরছেন বহু বছর পর। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘জীবন সাথী’তে। স্নেহাশিস চক্রবর্তীর পরিচালনায় ধারাবাহিকের তিন প্রধান চরিত্র শ্রাবণী ভূঁইঞা, পল্লবী শর্মা আর ইন্দ্রাণী।
কয়েক যুগ পরে আবার ছোটপর্দায়? আনন্দবাজার ডিজিটালকে শুরুতেই পরিষ্কার করলেন ইন্দ্রাণী, ‘‘এ ভাবে ডেলি সোপে এই প্রথম আসা। এর আগে ছোট পর্দায় কাজ করেছি বড় পর্দার পরিচালকদের সঙ্গে। যেমন, বীরেশ চট্টোপাধ্যায়, প্রভাত রায়ের ছবিতে কাজ করেছি। তাঁদের ছোট পর্দার কাজে দর্শক আমায় দেখেছে। এ বার ছোট পর্দা সরাসরি ডাকল।’’
নতুন মেগায় ইন্দ্রাণী ফ্যাশন ডিজাইনার। ভীষণ ব্যক্তিত্বময়ী। নিজের রুচি, পছন্দের বাইরে যেতে নারাজ। বাড়ি, ব্যবসা, সংসারের সর্বময়ী কর্ত্রী। ব্যক্তি ইন্দ্রাণী যে ভীষণ নরমসরম! অন্তত পর্দা তেমনই বলে...। ছোট্ট উত্তর, ‘‘সিনেমাতে সারাক্ষণ কেঁদে যাচ্ছি, সবার সহানুভূতি পাচ্ছি। এখানে সে রকম নয়। আমি যেটা নই সেটা অভিনয়ে ফোটাব এবার।’’ শুধু এই একটাই নয়, পজিটিভ-নেগেটিভ মিলিয়ে প্রচুর শেডস ‘সালঙ্কারা’ চরিত্রে। পরিচালক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন ইন্দ্রাণীকে।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে চুপ করাতে অন্য এক নারীকে মিথ্যেয় শামিল করতে হল’, যৌন হেনস্থার অভিযোগে অনুরাগের নিশানায় কঙ্গনা
আগের থেকে অনেক ফারাক এখনকার টেলি দুনিয়ায়? ইন্দ্রাণীর কথায়, সবে প্রোমো শুট হয়েছে। ফারাক বোঝার মতো সুযোগ আসেনি। তবে শ্রাবণী, পল্লবী, দিয়া বসু, সায়ন কর্মকারের প্রশংসা করলেন ‘সেদিন চৈত্র মাস’-এর নায়িকা, ‘‘আগামী দিনে কী হবে জানি না। তবে ওঁরা সবাই যথেষ্ট পোক্ত।’’
ধারাবাহিকের শুট শুরু হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। অভিনেত্রী ফ্লোরে পা রাখছেন ২২ তারিখ। ‘‘সমস্ত সতর্কতা মেনে’’ জানাতে ভুললেন না।
ধারাবাহিকের লুকে
‘যমুনা’ মহিলা ঢাকিদের জায়গা করে দিল। ‘জীবন সাথী’ কাকে মান্যতা দেবে? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। স্নেহাশিসের দাবি, ‘‘এক কথায় বলা খুবই মুশকিল। ‘জীবন সাথী’তে অনেক স্তর। প্রধান লেয়ার দুটো— প্রশাসন আর সুরূপা বনাম কুরূপা। আছে পরিবারতন্ত্র, মেয়েদের জেতার লড়াই, মহিলা ব্যবসায়ীর অদম্য ব্যক্তিত্ব। এই চরিত্রেই ইন্দ্রাণী দত্ত। পরিবারের কর্তা দীপঙ্কর দে। ইন্দ্রাণী দত্ত তাঁর ছেলের বউ। পুলিশ অফিসার হয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত।’’
ইন্দ্রাণীই কেন? যুক্তি, একজন সম্পূর্ণ নারীকে চেয়েছিলেন। যাঁর মধ্যে সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ, ব্যবসা চালানোর দক্ষতা— সবটাই থাকবে। ইন্দ্রাণীর মধ্যে সেটা রয়েছে। চরিত্রে যেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ডিজাইনার স্বর্ণালী কাঞ্জিলালের ছায়া! ‘অ্যাপিয়ারেন্সে অনেকটাই তাঁর মতো’, স্বীকার স্নেহাশিসের।
সুরূপা বনাম কুরূপার লড়াই কেমন? জবাব, দুই বোনের একজন সুন্দরী অন্য জন গুণী কিন্তু রূপসী নয়। ‘সেলাই’ বুটিকের জন্য সেরা শাড়ি বানাতে বানাতে সালঙ্কারার নজর সব সময়েই সুন্দরের দিকে। পুলিশ অফিসার ছেলের জন্য তার পছন্দ প্রথম জনকে। ঘটনাচক্রে উল্টোটা ঘটলে তখনই বাধে সংঘর্ষ।
গল্পে জিতবে কে? এটা বলে দিলে ধারাবাহিক কেউ দেখবে? পাল্টা প্রশ্ন পরিচালকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy