হবু খুড়শ্বশুরমশাই বাধা না দিলে এত দিনে তিনিই ঘরণি হতেন! সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। তা বলে নীরবে ভালবাসতে পারবেন না, কোথায় লেখা আছে? কাউকে জানতে না দিয়ে গত ৩০ বছর ধরে এ ভাবেই দূর থেকে ভালবেসে গেলেন সোনালি বেন্দ্রে! যদিও শেষরক্ষা হল না। সম্প্রতি তাঁর চোখের ভাষা নাকি পড়ে ফেলেছেন ছবিশিকারিরা। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রবল অধিকার বোধেই নাকি সোনালি কাছে ডেকে নিয়েছেন পুরনো বন্ধুকে। অভিনেত্রীর চোখের ভাষা নিমেষে ক্যামেরাবন্দি করতে দেরিও করেননি তাঁরা। তার পরে সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দিতেই ভাইরাল!
বর্তমান মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা দলের নেতা রাজ ঠাকরে। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। জানা যায়, এক সময় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলিউড অভিনেত্রীর। দিন দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘মরাঠি ভাষা দিবস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সোনালি। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজও। সোনালি সে দিন সবুজ পোশাকে ঝকঝকে। মরাঠি সাজ মেনে খোঁপায় ফুল জড়ানো। রাজ বেছেছিলেন নীল পাঞ্জাবি। মঞ্চে ওঠার আমন্ত্রণ পেতেই এগিয়ে যান অভিনেত্রী। হঠাৎ পিছনে নজর তাঁর। চোখের ইশারায় ডেকে নেন কাকে যেন! এর পরেই সোনালির সঙ্গে মঞ্চে উঠতে দেখা যায় রাজকে। পাশাপাশিই বসেন তাঁরা। উভয়ের মুখে খুশির হাসি।
আরও পড়ুন:
সাল ১৯৯৪। সোনালি পা রেখেছেন বিনোদন দুনিয়ায়। সেই সময় চার চোখ এক হয়েছিল। প্রেমে পড়েছিলেন রাজ-সোনালি। কিন্তু রাজের কাকা বাল ঠাকরে ভীষণ কড়া। তাঁর কানে এ সম্পর্কের খবর পৌঁছোতেই ভাইপোকে রীতিমতো শাসিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, এতে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। পারিবারিক সমস্যা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে রাজ অসম্মানিত হবেন। কাকার প্রতাপের কাছে সে দিন হার মেনেছিলেন রাজ। দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন সোনালিকে। বিয়ে করেন শর্মিলা ঠাকরেকে। এত কিছুর পরেও কি পরস্পরকে ভুলতে পারেননি তাঁরা? অন্তত তেমনই সাক্ষ্য দিল ‘মরাঠি ভাষা দিবস’।