আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের প্রতিবাদে কৌশিক সেন। নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে উত্তাল কলকাতা। এক দিকে, মেয়েদের ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি। অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা। তার আঁচ পৌঁছেছে অ্যাকাডেমিতেও। সেই ঘটনায় স্তব্ধ অভিনেতা দম্পতি কৌশিক সেন ও রেশমি সেন। নেপথ্যে তখন ধ্বনি উঠেছে, ‘‘স্বাধীনতার ৭৮, আনবে নতুন ভোর’’!
নতুন ভোরে হিংসায় বিপর্যস্ত কলকাতাকে দেখবেন বলেই কি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন! আক্ষেপ অভিনেতা দম্পতির। আনন্দবাজার অনলাইনকে রেশমি বললেন, ‘‘২০২৬-এ নির্বাচন। তার আগে প্রশাসনের এই ভূমিকা বলছে, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে রাজ্য সরকারের।’’ একই সুর কৌশিকের কথাতেও। তিনি আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাবাহিনীর উপরে ভরসা করছেন মানে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।’’
কিছু দিন আগেই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, যে ঘরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন হয়েছিল তদন্ত শেষের আগেই সেই ঘর-সহ অন্যান্য ঘরে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এর পরেই ১৪ অগস্ট রাতে বহিরাগতদের হামলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। ঘটনায় বিষণ্ণতার ছোঁয়া অভিনেতা দম্পতির কণ্ঠে। একযোগে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এমন কী ঘটনা চাপা দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার? যার জেরে বহিরাগতদের এই হামলা?’’
সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তবর্তী সরকার গঠনের সাক্ষী ভারত। আরজি কর-কাণ্ড কি দেশে তেমনই কোনও বড় বদল আনতে চলেছে? এর জবাব দিয়েছেন কৌশিক। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ভারতে হবে না। কারণ, দুই দেশের ইতিহাস আলাদা। তবে ক্ষমতা কায়েম রাখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভবুদ্ধির সাহায্য নিতে হবে। না হলে, গণতন্ত্রের সাহায্য নিয়ে জনগণ ইভিএম-এ তার জবাব দেবে।’’ তাঁর আরও দাবি, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু চাপা পড়ে গেলেও আরজি কর-কাণ্ড মনে রাখবে জনগণ। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের এই ভুল পদক্ষেপ।
আরজি কর-কাণ্ডে অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট তাঁরা। কেন তিনি আত্মহত্যার কথা বললেন? কেনই বা অপসারিত হলে ফের তাঁকে অন্যত্র উচ্চ পদে ফিরিয়ে আনা হয়? জানতে চেয়েছেন দু’জনেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy