দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা অল্লু অর্জুনের। ছবি: সংগৃহীত।
এক রাতের হাজতবাস। অনেকটাই বুঝি বদল ঘটল বাস্তবের ‘পুষ্পা’র! এক বারের জন্য মেজাজ হারাননি। প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতাও করেননি। উল্টে যে ভাবে বাকি অভিযুক্তরা গরাদের ও পারে থাকেন সে ভাবেই থেকেছেন তিনি। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরেই তাঁর অভিনীত ছবি ‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানালেন অল্লু অর্জুন। একই সঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। জোড় হাতে জানালেন, তিনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশেই আছেন। প্রয়োজনে গুরুতর আহত কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিতেও প্রস্তুত।
রবিবার সমাজমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্ট করেন নায়ক। লেখেন, “আইনি পদক্ষেপের কারণে দুর্গত পরিবারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারছি না। কিন্তু আমার মন পড়ে আছে ওঁদের কাছেই। অঘটনের জন্য আন্তরিক দুঃখিত। আহত কিশোরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। পরিবারের বাকিরাও যাতে নিজেদের সামলে উঠতে পারেন তার জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি। ওঁদের পরিবারের সকলকে সমবেদনা জানাই।”
মুক্তির আগে থেকেই নানা কারণে চর্চায় অল্লু অর্জুন-রশ্মিকা মন্দানা অভিনীত ছবিটি। কখনও তার গান নিয়ে, তো কখনও দৃশ্যায়ন নিয়ে আলোচনা চলছেই । ছবিমুক্তির দিন যত এগিয়ে এসেছে ততই উত্তেজনা বেড়েছে অভিনেতাদের অনুরাগীদের মধ্যে। ৪ ডিসেম্বর ছবিমুক্তির দিন রীতিমতো ‘বীরপুজো’ হয়েছে। সেখানেই বিপত্তি। সন্ধ্যা থিয়েটারে সে দিন নিজে উপস্থিত ছিলেন অল্লু। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেবতি এবং তাঁর ছেলে শ্রী তেজ। নায়ককে চোখের সামনে দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিত দর্শকেরা। অল্লুকে ছুঁয়ে দেখার তাগিদ থেকেই বাড়তে থাকে ভিড়। অসুস্থ বোধ করতে থাকেন রেবতি। ভিড় সরাতে স্থানীয় প্রশাসন এর পরেই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় দর্শকদের মধ্যে। তখনই পদপিষ্ট হন আক্রান্ত এবং তাঁর ছেলে। খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় রেবতির। চিকিৎসা চলছে তাঁর কিশোর ছেলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy