বেগমজান
কারও পাল্লা কম ভারী নয়। কেউ কনসেপ্টের উপর ভরসা করছেন। কারও কাছে আছে স্টার পাওয়ার। গরমের বাজারে হিন্দি-বাংলা সিনেমার টক্করে লাভবান হচ্ছেন দর্শকই। এপ্রিল-মে মাসে ছুটি থাকে। তাই আগে থেকে প্ল্যান করুন কোন সিনেমা দেখবেন।
পয়লার লড়াই
বিসর্জন
বাঙালি দর্শকের জন্য পয়লা বৈশাখে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’ রয়েছে। আবির চট্টোপাধ্যায় এখানে জোরালো চরিত্রে। কৌশিক নিজে অভিনয় করেছেন। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে প্রেমের কাহিনি উপহার দিচ্ছেন দর্শককে। সীমান্ত ভাগ নিয়ে আর এক পরিচালকও ঘুঁটি সাজিয়েছেন। তিনিও বাঙালি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ‘রাজকাহিনি’র বলিউড রিমেক ‘বেগমজান’ নিয়ে সৃজিতও আসছেন। তবে কৌশিকের ছবির সাতদিন আগেই বিদ্যা বালনের ‘বেগমজান’ মুক্তি পাবে। কৌশিক একেবারেই সৃজিতকে নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁর মতে, বাঙালি দর্শক ‘রাজকাহিনি’ দেখে ফেলেছেন। তা হলে ফের ‘বেগমজান’ দেখবেন কেন? কৌশিকের আশা অমূলক নয়। ‘বেগমজান’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে, গল্পের গতিপ্রকৃতি এক। দৃশ্যায়নের প্রচুর মিল। শুধু মুখ আর ভাষা আলাদা। দেখা যাক দর্শক কী রায় দেন?
সরকার থ্রি
দু্গ্গা দু্গ্গা
দুর্গা সহায়
এপ্রিলের শেষে আবার একটা লড়াই। ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ বক্স অফিসে যে ঝ়ড় তুলবে সেটা নিশ্চিত। বলিউ়়ড ওই সময় কোনও বড় রিলিজ রাখেনি। কিন্তু অরিন্দম শীল বাংলায় সাহসটা দেখিয়ে ফেলেছেন। কারণ, ‘দুর্গা সহায়’। তাঁর মতে, মা দুর্গার নামে যখন ছবি তিনি ঠিক সহায় হবেন। তবে ‘বাহুবলী’ দেখতে কলকাতার দর্শকও কম আগ্রহী নন। ওদিকে অরিন্দম গোয়েন্দা জঁর ছেড়ে তিনি পারিবারিক গল্প বলছেন এবার। নতুন স্টাইলে তিনি ‘বাহুবলী’কে সামলাতে পারবেন তো?
পাতে গরম
পোস্ত
যাঁদের ছবির জন্য দর্শক অপেক্ষা করে বসে থাকেন, তাঁদের মধ্যে এক নম্বরে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়। গরমের ছুটিতেই তাঁরা প্রতিবছর আসেন। এবারে বাঙালির জন্য তাঁদের ‘পোস্ত’ রয়েছে। অবশ্যই পারিবারিক গল্প। সন্তান মানুষ করা নিয়ে দুই প্রজন্মের সংঘাত। বাঙালির আবেগকে বারবার ছুঁয়েছেন পরিচালকদ্বয়। তাঁদের পাল্লা দেওয়ার জন্য উলটো দিকে রয়েছে রামগোপাল বর্মা ‘সরকার থ্রি’ নিয়ে। যশ রাজ ফিল্মসের ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ আছে। বাংলায় সোহম তাঁর প্রথম প্রযোজনা নিয়ে ‘পোস্ত’র মুখোমুখি। দেখা যাক শিবপ্রসাদ-নন্দিতা নতুন রেকর্ড গড়তে পারেন কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy