ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প তো দূরের কথা, স্থানীয় থানার পুলিশকেও থাকতে দেওয়া হবে না। জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হতেই একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আসতে শুরু করল। গোপীবল্লভপুরে বুথের কাছেই ক্যাম্প বসিয়ে ভোটারদের খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশন তথা কেন্দ্রীয় বাহিনী কতটা সক্রিয় হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। জঙ্গলমহলের ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের আগের দিন অধিকাংশ এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি দেখা যায়নি। বুথেই বসে থেকেছেন জওয়ানরা। আনন্দবাজারেই প্রকাশিত হয়েছে সে খবর। ভোটের আগের রাতে গ্রামীণ এলাকায় যে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চলে, তা রুখতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি জরুরি। এই টহলদারি ঠিক মতো হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে ভোট কতটা অবাধ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই গিয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠতে শুরু করল।
গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাহারিয়া নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বুথের কাছে প্রকাশ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল। অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কর্মীরা ক্যাম্প করে বসে রয়েছেন বলে অভিযোগ। ভোটারদের তাঁরা মুড়ি-চানাচুর-ছোলা খাওয়াচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু খাওয়ানো নয়, গাড়িতে করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং ভোট দেওয়া হতেই আবার গাড়িতে করে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের খাইয়ে এবং গাড়িতে করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে শাসক দল তাঁদের প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও কী করে শাসক দল এমন অবাধে ভোটারদের প্রবাবিত করতে পারছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন শিবির থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy