পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে তৃণমূলের হাতে চরম হেনস্থার মুখে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডে। খবর সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত হল সংবাদমাধ্যমও। শ্যাম পাণ্ডের হেনস্থার ছবি তুলেছিলেন যে সাংবাদিকরা, তাঁদের মারধর করে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হল। এই ঘটনাতেও অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকেই।
শালবনি বিধানসভা কেন্দ্র সকাল থেকেই উত্তপ্ত। বিভিন্ন এলাকায় বুথ দখলের খবর আসতে শুরু করে সকাল থেকেই। সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডে। সকাল থেকে বার বার কমিশনের কাছে অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু খুব একটা কাজের কাজ হয়নি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অবাধেই নিজেদের কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। শ্যাম পাণ্ডে শালবনির বিভিন্ন বুথে ঘুরে ভোটের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এ দিন। তাঁর গাড়িতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। মেটাদহ বুথে শ্যাম পাণ্ডের গাড়ি পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। ‘হার্মাদ’কে বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে শ্যাম পাণ্ডের পথ আটকানো হয়। তিনি মেটাদহ বুথে না ঢুকে গুয়াইদহ চলে যান। সেখানেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সিপিএম প্রার্থীকে। এর পর তিনি যান আঁধারনয়ন। সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। শ্যাম পাণ্ডেকে ঘেরাও করা হয়। চরম হেনস্থা করা হয় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেই হেনস্থার ছবি তোলা শুরু করতেই, মারধর শুরু হয়ে যায়। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং চিত্রগ্রাহক আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধি সোমনাথ দাস এবং ২৪ ঘণ্টা ও নিউজ টাইমের প্রতিনিধিরাও। শুধু মারধর নয়, তাঁদের ক্যামেরাও কেড়ে নেওয়া হয়। শ্যাম পাণ্ডে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
হামলার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হলেও মেলেনি বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলের মাত্র ২০-২২ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বার বার বাহিনীর সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। নির্বাচন কমিশনের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy