অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
খাস অযোধ্যার রামভূমিতেই ধরাশায়ী রামভক্ত বিজেপি! এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যখন পদ্ম নেতারাও বিভ্রান্ত, তখন উত্তর দিলেন উত্তরপ্রদেশজয়ী অখিলেশ যাদব।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অখিলেশ। সাংবাদিকরা অখিলেশের কাছে জানতে চান, খাস অযোধ্যার লোকসভা কেন্দ্রেই কেন বিজেপির ভরাডুবি হল? জবাবে সমাজবাদী প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি অযোধ্যায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। দেবতার পুজো করতে গিয়ে দরিদ্রদের পথে বসিয়েছে। তারই ফল এসেছে ভোট বাক্সে। বরং আমি বলব, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমার কথা ছিল।’’
গত ২২ জানুয়ারি ভোটের মাস তিনেক আগে তড়িঘড়ি অসমাপ্ত রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্বোধন নিয়ে মেতেওছিলেন রামভক্তরা। প্রকাশ্যে না বললেও বিজেপির এই সিদ্ধান্ত যে ভোট টানার জন্যই, তা নিয়ে দ্বিমত ছিল না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার ফল তো মেলেইনি, উল্টে অযোধ্যা যে লোকসভা কেন্দ্রের অধীন, সেই ফৈজাবাদেই হেরেছে পদ্ম! রামমন্দির অঙ্ক কেন মিলল না, তা নিয়ে যখন বিজেপি নেতৃত্ব নীরব, তখন অযোধ্যা নিয়ে সন্দেহ দূর করলেন অখিলেশ।
বৃহস্পতিবার অখিলেশ বলেন, ‘‘অযোধ্যায় রাম মন্দির করার জন্য বহু মানুষকে তাদের ভিটে মাটি থেকে উৎখাত করেছে বিজেপি। বাজারদরের থেকে অনেক কম দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনও হয়েছে, ১০০ বছর ধরে অযোধ্যার ওই এলাকার বাসিন্দাকে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। তারাই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।’’
উত্তরপ্রদেশের লোকসভা ভোটের ইতিহাস বলছে, অখিলেশের দল এযাবৎকালের সেরা ফল করেছে। ৮০টি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ৩৭টি আসন। আর কংগ্রেস, সমাজবাদীর বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ৪৩টি। অন্য দিকে, গত বার লোকসভায় ৬২ আসন পাওয়া বিজেপি এসে ঠেকেছে ৩৩-এ। হাতছাড়া হওয়া ২৯টি আসনের মধ্যে অন্যতম হল অযোধ্যা। যে হারকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা। বৃহস্পতিবার এই ফলাফল নিয়েই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অখিলেশ। অযোধ্যার পাশাপাশি কথা বলেন অন্য বিষয় নিয়েও।
বিরোধী জোট ইন্ডিয়া বুধবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা কেন্দ্রে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী বিরোধীর ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে তারা এ-ও জানিয়েছে যে, দেশের জনগণের দাবি আদায় করে আনবে তারা কেন্দ্রের কাছ থেকে। অখিলেশকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন, প্রথম কোন পরিবর্তন আনার কথা ভাবছেন তিনি? উত্তরে অখিলেশ বলেন, ‘‘অগ্নিপথ প্রকল্প, যার অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী অল্প সময়ের জন্য অগ্নিবীরদের নিয়োগ করে, তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’’
উত্তরপ্রদেশের তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তদের উন্নতির কথাও বলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা। তবে কেন্দ্রে কারা শপথ নেবে, তা জানতে চাওয়া হলে, অখিলেশ কিছুটা রহস্য রেখেই বলেন, যাদের কাছে সংখ্যা আছে, তারাই শপথ নেবে, তার পরে সেই সংখ্যা বদলে যাবে। তখন আবার অন্য কেউ শপথ নেবে। শপথ নেওয়া তো চলতেই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy