নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র ভূমিকা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সোমবারই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। দিল্লির কমিশনের সদর দফতরে গিয়ে ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের ১০ সদস্যের এক দল। দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানান, কমিশনের কাছে তাঁরা সমান মাঠে খেলানোর দাবি জানাবেন।
দোলার কথায়, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি চলাকালীন অত্যন্ত অন্যায় ভাবে বাংলায় তৃণমূলের ক্ষেত্রে ইডি, সিবিআই, আয়কর বিশেষ করে এনআইএ-কে কেন্দ্রীয় সরকার কাজে লাগাচ্ছে। শুধু বাংলায় নয়, অন্যান্য রাজ্যের বিরোধীদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারা শুধু জেলেই পাঠাচ্ছে না, আমাদের অনেক কর্মী, বন্ধুকে এনআইএ দিয়ে গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
তৃণমূলের প্রশ্ন, ২০২২ সালের মামলা নিয়ে ভোটের আগে কেন সক্রিয়তা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? দোলা বলেন, ‘‘খুবই অন্যায় এবং বেআইনি কাজ হচ্ছে। আমরা চাই সমান মাঠে খেলা হোক। বিজেপির মাঠটা সমান করা আছে, আর আমাদের মাঠটা উঁচু-নীচু, এমন হতে পারে না। কমিশনের দায়িত্ব সকলকে সমান মাঠে খেলানো। আমরা কমিশনকে সেটাই বলব। এর আগেও একই কথা আমরা কমিশনকে জানিয়েছি।’’
এনআইএর সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে, রবিবার সেই দাবি তোলে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি যে এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই ভিডিয়ো তাঁদের কাছে আছে। মানতে না চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দেবেন। দোলা জানান, সে বিষয়েও কমিশনকে জানাবেন তাঁরা।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বর্তমান এবং প্রাক্তন ১০ সাংসদ। তাঁরা হলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিবেক গুপ্তা, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুদীপ রাহা। দোলা জানান, সোমবার বিকেলের মধ্যেই কমিশনে যাবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বার দু’য়েক কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। গত সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করে চিঠিও দেয় তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “এটি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আজ আমরা আপনাকে লিখছি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ এবং সংস্থা সারা দেশ জুড়ে বিরোধী দলগুলির নেতা-কর্মীদের হয়রান করছে।’’ উদাহরণ হিসেবে মহুয়া মৈত্রের কথা লিখেছিল তৃণমূল। তাদের দাবি, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে জেনেবুঝে হয়রান করছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy