বাঙালি খাবারে মধ্যাহ্নভোজ ইউসুফ পাঠানের। —নিজস্ব চিত্র।
সুদূর গুজরাতের বাসিন্দা তিনি। আইপিএলে খেলার সুবাদে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলেও বাঙালি খাবারের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচিত ছিলেন। তবে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার সুবাদে সর্ষে ইলিশ, পটল পোস্ত, মসুর ডাল, উচ্ছে ভাজা ইত্যাদি বাঙালি খানার সঙ্গে বেশ ‘দোস্তি’ হয়ে গিয়েছে ইউসুফ পাঠানের। রীতিমতো কব্জি ডুবিয়ে খেলেন সমস্ত বাঙালি পদ। তৃণমূল কর্মীরাও পাঠানকে খাইয়ে ভীষণ খুশি।
সোমবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পাঠান কান্দি বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রচারসঙ্গী ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের দাদা কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার। মূলত তাঁর উদ্যোগে পাঠানের জন্য বাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল বাংলা নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে। যদিও তাঁরা সন্দিহান ছিলেন যে, গুজরাতি ইউসুফ বাঙালি খাবার খেতে অসুবিধায় পড়বেন কি না। পাঠান অবশ্য সরু চালের সাদা ভাত, মসুর ডাল, পটল পোস্ত, দেশি মুরগির মাংস, সর্ষে ইলিশ খেলেন বেশ তৃপ্তি করে। শুধু এটুকুই নয়, সঙ্গে উচ্ছে, পটল, আলু এবং ঢ্যাঁড়শ ভাজা। সঙ্গে ছিল স্যালাড। সব মিলিয়ে দশ রকম বাঙালি পদে সোমবার মধ্যাহ্নভোজ সারলেন পাঠান। খাওয়া শেষ করে পাঠান নিজেই বললেন, ‘‘বাঙালি খাবারে আমি যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানাচ্ছেন, জেলায় তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড গরমের কথা ভেবে হালকা মশলায় রান্না করা হয়েছে খাবার। তবে পাঠান সব খাবারই পছন্দ করেছেন। বিশেষত, ইলিশ মাছের পদ, মসুর ডাল এবং স্যালাড পছন্দ করেছেন বেশি।
কেমন লাগছে বাঙালি খাবার? পাঠানের কথায়, ‘‘বাংলা ও বাঙালিয়ানার সঙ্গে আমার যোগ দীর্ঘ দিনের। কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছি অনেক দিন। বাঙালি খাবার আমার ভালই লাগে।’’ আর আজকের মেনু কেমন ছিল? পাঠানের জবাব, ‘‘জাস্ট লা জবাব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy