পাঠানের সঙ্গে সেলফি নিতে গিয়ে থাপ্পড় খেলেন যুবক! —নিজস্ব চিত্র।
এত দিন ২২ গজে ঝড় তোলা ‘পিঞ্চ হিটার’কে শুধু টিভির পর্দায় দেখেছেন তাঁরা। কেউ কেউ হয়তো খেলার মাঠে দেখেছেন। সেই ইউসুফ পাঠানকে নিজের এলাকায় দেখে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কান্দির মানুষ। হাসিমুখে ক্রিকেটভক্ত এবং দলীয় কর্মীদের আবদারও মেটাচ্ছিলেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন ঘটাল একটি সেলফি। পাঠানের সঙ্গে নিজস্বী নিতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের দাদার হাতে থাপ্পড় খেলেন এক যুবক। শনিবার নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন এমন অবাঞ্ছিত ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী।
মুর্শিদাবাদের কান্দির হেলিপ্যাড ময়দানে জনসভা ছিল পাঠানের। ভিড় হয়েছিল জব্বর। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে হাতের নাগালে পেয়ে সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়তে চাননি এক যুবক। সভার প্রায় শেষ লগ্নে ইউসুফ তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ তাঁর পিছন দিক থেকে ছুটে গিয়ে সেলফি নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। সেটা নজরে আসতেই ওই যুবককে আটকাতে গিয়ে থাপ্পড় কষিয়ে ফেলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারের দাদা কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার। বিষয়টি দৃষ্টিকটু লাগে অনেকের। তখন বিষয়টি নজর এড়িয়ে গিয়েছে পাঠানের। পরে তা কানে আসার পর ওই অঞ্চলের এক তৃণমূল নেতার কাছে এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। প্রথম দিনের প্রচারের অবাঞ্চিত ঘটনায় কিঞ্চিৎ বিড়ম্বনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
যদিও পার্থপ্রতিমের নিজের দাবি, তিনি থাপ্পড় মারেননি। তিনি ‘কর্তব্য পালন’ করেছিলেন। ওই তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘সভার শান্তিশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওই তৃণমূল কর্মীকে সরিয়ে দিয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ছোটদের অনুশাসন করা তো বড়দের কর্তব্য।’’ অন্য দিকে, এ নিয়ে পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে আমি দুঃখিত। আমার ভক্তেরা সব সময় আমার হৃদয়ে থাকেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy