(বাঁ দিক থেকে) এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং অমিত শাহ। ছবি: এক্স।
ছ’বছর পরে আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রকাশিত একাধিক খবরে দাবি।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর উদ্দেশ্যে চন্দ্রবাবু ইতিমধ্যেই তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট করেছেন। বর্তমানে টিডিপির জোটসঙ্গী পবন গত নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে তিন দলের আসন সমঝোতা কার্যত পাকা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিন দলের জোট অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইআরএস কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডিকে চাপে ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছেড়েছিল টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। সে বার ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ধ্রে গিয়ে চন্দ্রবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন। তার পর থেকে ঘোষিত ভাবে বিজেপির সঙ্গে জোট ছিল না টিডিপির।
২০২২ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের পুরভোট থেকে পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করে। সেখানে দুই দল জোট বেঁধে লড়াই করে কংগ্রেস-ডিএমকে জোটকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তার পরেই আবার এনডিএ-তে ফেরার রাস্তা তৈরি হয়। অন্ধ্র তথা কেন্দ্রীয় স্তরে জোটের সলতে পাকানোর শুরুটা অবশ্য ২০২৩-এর মে মাসে। ওই মাসের ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে উঠে এসেছিল টিডিপি প্রতিষ্ঠাতা এনটি রাম রাওয়ের (এনটিআর) নাম। চন্দ্রবাবুর প্রয়াত শ্বশুর এনটিআর তিনটি মেয়াদে সাত বছর অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক অঙ্ক মাথায় রেখেই বিজেপির সঙ্গে ফের জোট বাঁধতে আগ্রহী চন্দ্রবাবু। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহনের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে পাঁচ বছর আগের বিধানসভা ভোটে জগন্মোহন যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তা আগামী ভোটে ধাক্কা খেতে পারে। টিডিপি নেতৃত্বের আশা, বিজেপিকে সঙ্গে নিতে পারলে দুর্নীতির অভিযোগগুলি নিয়ে জগন্মোহনকে অনেক বেশি চাপে ফেলা যাবে। যাতে আখেরে লাভ হবে তাঁদেরই।
চন্দ্রবাবুর শ্বশুর এনটিআরের হাত ধরেই বিজেপি একদা দক্ষিণের এই রাজ্যে পা রেখেছিল। ১৯৮৪ সালের লোকসভা ভোটে দেশে দু’টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তার মধ্যে একটি ছিল অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে। এক দশকে মোদীর শাসনে এবং হালফিলে রামমন্দির-আবেগে সেখানে হিন্দুত্বের হাওয়া কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে তাঁদের ‘অঙ্ক’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy