Advertisement
Back to
সংগঠন মজবুত করতে বিশেষ নজর
Lok Sabha Election 2024

সংগঠন বাড়াতে বহু বিধানসভায় সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠরা

কয়েক দিন আগে তৃণমূলও বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের জন্য নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৯:২৪
Share: Save:

দু’দিন আগে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভায় সংগঠনের হাল নিয়ে জেলা, মণ্ডল সভাপতিদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সংগঠনের হাল না ফিরলে তাঁর ‘টিম’ বুথে নেমে কাজ করবে বলে জানিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা নিয়ে সঙ্ঘও কড়া রিপোর্ট দিয়েছে। ওই লোকসভার সাতটি বিধানসভায় বিশেষ দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে কয়েক জনকে। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকিরা সঙ্ঘের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভার প্রতিটি বিধানসভাতেও একজন করে নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও মতুয়া ও সঙ্ঘের সঙ্গে যোগ রেখে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কয়েক দিন আগে তৃণমূলও বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের জন্য নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের জন্য ১৭ জন আর বর্ধমান পূর্বের জন্য ১২ জনের কমিটি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে ব্লকস্তরেও নির্বাচনী কমিটি গড়া ও বিধায়কদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন। রাজ্যের মন্ত্রী, বর্ধমানের দায়িত্বে থাকা অরূপ বিশ্বাসও পশ্চিম বর্ধমানের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডলকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিজেপি সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান দক্ষিণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তনয় মণ্ডলকে, বর্ধমান উত্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন রমন শর্মা, ভাতারের দায়িত্বে মৌমিতা বিশ্বাস মিশ্র, গলসির দায়িত্বে আইনজীবী তথা জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক আশিস পাল, মন্তেশ্বরে শ্যামজ্যোতি মাঁকর, দুর্গাপুর পূর্বে অভিজিৎ দত্ত, দুর্গাপুর পশ্চিমে রয়েছেন সঞ্জীব সেন। এ ছাড়াও যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, “দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, সঙ্ঘের লোকেদের সামনে আনা হয়েছে। তাঁরাই প্রতিটি বিধানসভা ধরে ভোট-সম্পর্কিত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়গুলি দেখবেন।” শুক্রবারই ভাতারে গিয়ে বৈঠক করেন মৌমিতা।

বিজেপি সূত্রে জানা যায়, দিলীপ ওই বৈঠকে প্রতিটি মণ্ডল থেকে অন্তত ৮-১০ হাজার ভোটে জেতার ‘লক্ষ্যমাত্রা’ দিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, বেশির ভাগ মণ্ডলে ভোটার থাকলেও কর্মী নেই। বুথে সংগঠন করার লোকও কম। থাকলেও তাঁরা সক্রিয় নন। প্রার্থী সিদ্ধান্ত নেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে মণ্ডল সভাপতিদের বুথের সংগঠন ঠিক করতে হবে। যে সব জায়গা ‘নড়বড়ে’ থাকবে, সেখানে যাবে তাঁর ‘টিম’। এর পরেই রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সম্পাদক সতীশ ধন্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্ঘের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব দেয় বিজেপি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy