ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে চাকরিহারা মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার উচ্চপদস্থ আধিকারিক তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীলা রাজেন্দ্র। নীলাকে চাকরিতে বহাল রাখতে সব রকম চেষ্টা করেছিল নাসা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নীলাকে ছাঁটাই করতে কার্যত বাধ্য হল নাসা। অন্তত তেমনটাই দাবি আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র ‘ডিইআই’ (ডাইভার্সিটি, ইকুইটি, ইনক্লুসন) বিভাগে কর্মরত ছিলেন নীলা। সম্প্রতি ট্রাম্প সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, সমস্ত সরকারি সংস্থায় ‘ডিইআই’ বিভাগের আর প্রয়োজন নেই। তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এর পরেই গত মার্চ মাসে নাসা ‘ডিইআই’ বিভাগটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু নীলাকে চাকরিতে রেখে দিতে তাঁকে নতুন দফতর ‘অফিস অফ টিম এক্সিলেন্স এবং এমপ্লোয়ি সাকসেস’-এর মাথায় বসানো হয়। সম্প্রতি সেই দায়িত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।
সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন’-এর দাবি, সম্প্রতি নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র ডিরেক্টর লরি লেশিন সংস্থার কর্মীদের একটি মেলে জানিয়েছেন, নীলা আর ওই সংস্থায় কাজ করেন না। শুধু তা-ই নয়, ‘অফিস অফ টিম এক্সিলেন্স এবং এমপ্লোয়ি সাকসেস’ নামে যে নতুন দফতরটি খোলা হয়েছিল, তার কর্মীদেরও মানবসম্পদ দফতরে বদলি করা হবে। ঘটনাচক্রে, এর এক সপ্তাহ আগেই নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’ থেকে ৯০০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছিল।
নীলা উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং সঙ্গীতে স্নাতক পাশ করেছিলেন। পরে এমবিএ পাশও করেছিলেন ‘ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ বিজ়নেস’ থেকে। নাসার কাজে যোগ দেওয়ার আগে শিকাগোয় ‘সায়েন্স অফ ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন ইনিশিয়েটিভ’-এ কর্মরত ছিলেন নীলা। তিনি ওই সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। সেখানে এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডিজ়াইন ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি।