লোকসভা ভোটে লড়বেন না তিনি, খড়্গেকে বার্তা দিলেন প্রিয়ঙ্কা, ধোঁয়াশা কাটল না অমেঠী-রায়বরেলী নিয়ে

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি নন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে তিনি সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ের পাশাপাশি অমেঠি বা রায়বরেলী থেকে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে মঙ্গলবারও কংগ্রেস কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না।

অমেঠী ও রায়বরেলী— গান্ধী পরিবারের দুই ঐতিহ্যবাহী লোকসভা কেন্দ্রে ২০ মে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যেই অমেঠী থেকে বিজেপির সাংসদ স্মৃতি ইরানি মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন। ৩ মে মনোনয়নের শেষ দিন। তার তিন দিন আগেও কংগ্রেস অমেঠী-রায়বরেলী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় আজ অমিত শাহ বলেছেন, এতে গান্ধী পরিবারের আত্মবিশ্বাসের অভাবই প্রকট হয়ে উঠেছে। তাঁর দাবি, এই বিভ্রান্তি থেকেই সেটা স্পষ্ট। গান্ধী পরিবারের নিজেদের চিরাচরিত আসন থেকেই আর লড়াই করার সাহস নেই।

অমেঠী, রায়বরেলীর প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়ে সোমবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার আলোচনা হয়েছিল। প্রিয়ঙ্কা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি গোটা দেশে প্রচারে মন দিতে চান। শুধু অমেঠীতে লড়তে গেলে তিনি একটি আসনে আটকে যাবেন। প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ শিবির বলছে, এখন অমেঠী থেকে লড়তে হলে প্রিয়ঙ্কার হাতে বেশি সময় নেই। স্মৃতি অনেক আগেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম বার ভোটে নেমেই প্রিয়ঙ্কা হার দিয়ে শুরু করতে চান না। অতএব প্রিয়ঙ্কা যে লড়ছেন না, সেটা স্পষ্ট। কারণ ৩ মে পর্যন্ত রোজই তাঁর প্রচার কর্মসূচি রয়েছে। রাহুলের অবশ্য ১ ও ৩ মে কোনও প্রচার কর্মসূচি নেই। যার অর্থ, তিনি দু’দিনের মধ্যে যে কোনও দিন অমেঠী বা রায়বরেলী থেকে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন।

কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী প্রাথমিক ভাবে এ বার শুধু কেরলের ওয়েনাড় থেকেই লড়তে চেয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের সকলে মনে করছেন, উত্তরপ্রদেশে দুই আসন থেকে গান্ধী পরিবারের কেউ না লড়লে কংগ্রেস নির্বাচনী ময়দানের জমি ছেড়ে পালাচ্ছে বলে বার্তা যাবে। একই মত উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের শরিক সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বেরও। এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব নিজেও এ বার ভোটে লড়ছেন। রাহুল, প্রিয়ঙ্কারও উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়া উচিত বলে অখিলেশের মত। সে ক্ষেত্রে রাহুলের এ বার অমেঠীর বদলে সনিয়া গান্ধীর গত বিশ বছরের আসন রায়বরেলী থেকে ভোটে লড়ার সম্ভাবনা বেশি। কংগ্রেস আজ হিমাচলের কাংড়া থেকে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মা ও হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে রাজ বব্বরকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। রাজ বব্বর এর আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন।