ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যে আবার বিরোধীদের উদ্দেশে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত বিতর্কের পরে এ বার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রসঙ্গে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা আজমগড়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে।
বৃহস্পতিবার আজ়মগড় জেলার লালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সমাবেশে মোদী বলেন, ‘‘ভোটের প্রচারে ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’) জোটের নেতারা বলছেন, তাঁরা সিএএ বাতিল করবেন। কিন্তু সে ক্ষমতা কারও হবে না।’’ এর পরেই জনতাকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেশে এমন কোনও ‘মাই কা লাল’ (চলতি বাংলায় ভাবানুবাদে ‘বাপের বেটা’) জন্মেছে যে সিএএ বাতিল করতে পারে?’’
লালগঞ্জের ওই সভায় মোদী বলেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি সিএএ ইস্যুতে মিথ্যাচার করছে। তারা উত্তরপ্রদেশ-সহ গোটা দেশকে দাঙ্গার আগুনে পোড়ানোর প্রবল চেষ্টা করেছিল। আজও ওই ‘ইন্ডি’ জোটের লোকেরা বলছে যে, মোদী সিএএ নিয়ে এসেছেন এবং যে দিন তিনি যাবেন, সিএএ-ও সরানো হবে। কিন্তু তাদের সেই ক্ষমতা নেই।’’ ঘটনাচক্রে, লোকসভা ভোটপর্বের মধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) অনুযায়ী আবেদনকারীদের শংসাপত্র বিলি শুরু করেছে মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা প্রথম দফায় ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিলেন মোদী। ওই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যে সমস্ত অমুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি) ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অন্তত পাঁচ বছর ভারতে কাটিয়েছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে সিএএ-তে আবেদন জানাতে পারেন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি সাক্ষাৎকারে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের ক্ষমতা থাকলে তারা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেখাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy