জল্পনাকে সত্যি করে দল থেকে প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে সাসপেন্ড করল জনতা দল সেকুলার (জেডিএস)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে তাঁকে সাসপেন্ড করার ইঙ্গিত দিচ্ছিল দেবগৌড়ার দল। তবে জেডিএস-এর তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। সেই বৈঠকের পর কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেবগৌড়ার অন্যতম পুত্র এইচডি কুমারস্বামী প্রজ্জ্বলকে সাসপেন্ড করার কথা জানান। প্রজ্জ্বলকে নোটিস পাঠিয়ে জবাবও তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেডিএস-এর কোর কমিটির প্রেসিডেন্ট জিটি দেবগৌড়া সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ঠিক করেছিলাম যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি (দেবগৌড়া)-কে বলব তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত রেভান্নাকে সাসপেন্ড করতে।
প্রথম দফার ভোটের আগে হাসন লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। তাতেই নাম জড়ায় ওই কেন্দ্রের জেডিএস প্রার্থী প্রজ্জ্বলের। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তেই ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শনিবার তিনি এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে জানান, রাজ্য সরকার এই ঘটনাটির তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে। কর্নাটকের মহিলা কমিশনও এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রজ্জ্বলের সঙ্গে নাম জুড়ে যায় দেবগৌড়ার পুত্র তথা প্রজ্জ্বলের পিতা এইচডি রেভান্নারও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, বাড়ির রাঁধুনির অভিযোগের ভিত্তিতেই হোলেনারাসিপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
কর্নাটকের এক বিজেপি নেতা সম্প্রতি দাবি করেছেন, তাঁর কাছে থাকা একটি পেনড্রাইভে ৩০০০টি অশ্লীল ভিডিয়ো রয়েছে। সেখানে প্রজ্জ্বলের যৌন কেলেঙ্কারির প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকি, ওই ভিডিয়ো দেখিয়ে পরবর্তী সময়েও মহিলাদের যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দেবগৌড়া-পৌত্রের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে জেডিএস-এর অন্দরেও। এর আগে দলেরই বিধায়ক শরণগৌড় কান্দকুর দলের প্রধান দেবগৌড়ার কাছে প্রজ্জ্বলকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছিলেন।