কঙ্গনা রানাউত এবং বিক্রমাদিত্য সিংহ। — ফাইল চিত্র।
তাঁর মা প্রতিভা সিংহ সপ্তাহ তিনেক আগেই লোকসভা ভোটে লড়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী জানালেন, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী, অভিনেত্রী কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভোটে পড়তে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভার পুত্র তথা সে রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ।
প্রতিভার স্বামী তথা বিক্রমাদিত্যের পিতা প্রয়াত বীরভদ্র ছিলেন হিমাচলের ছ’বারের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসাবে হিমাচল কংগ্রেসে পরিচিত। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘বিক্রমাদিত্য মান্ডি লোকসভা থেকে আমাদের প্রার্থী হতে পারেন।’’ এই পরিস্থিতিতে বিক্রমাদিত্য প্রার্থী হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ হিমাচল কংগ্রেসে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
ঘটনাচক্রে, সোমবার প্রতিভাও জানিয়েছিলেন, মান্ডিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব তাঁর পুত্রের নাম নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর পরে বিক্রমাদিত্য বলেন, ‘‘দল সুযোগ দিলে আমি মান্ডি থেকে ভোটে লড়তে প্রস্তুত।’’
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। ওই ক্রস ভোটিংয়ের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ঘটনাচক্রে, ওই বিধায়কেরা প্রতিভা-বিক্রমাদিত্য সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। রাজ্যসভা ভোটের পরেই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। যদিও পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর প্রচেষ্টায় ইস্তফা ফিরিয়ে নেন তিনি। কিন্তু গত দেড় মাস দলের কাজে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে।
দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করায় লোকসভা ভোটের পাশাপাশি ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে বরখাস্ত ছ’জন বিধায়ককে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ফলে জল্পনা ছিল, তাঁরা সিংহ পরিবারের সমর্থন পেতে পারেন। কিন্তু বিক্রমাদিত্য প্রার্থী হলে ‘অঙ্ক’ বদলে যেতে পারে বলে আশা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy