লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী তথা ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজ়াদ পার্টি (ডিপিএপি)-র প্রধান গুলাম নবি আজ়াদ।
গত সপ্তাহে ডিপিএপির মুখপাত্র তাজ মহিউদ্দিন জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে অনন্তনাগ-রজৌরি আসনে গুলামকে প্রার্থী করার বিষয়ে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে গুলাম বলেন, ‘‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কি না, তা এখনও ঠিক করিনি। আমার দল ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমি চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’
আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে অনন্তনাগ-রজৌরি আসনে লড়াই কঠিন হতে পারে আঁচ করে আগেভাগেই সরে যাওয়ার বার্তা দিলেন গুলাম। ২০২৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসে অনন্তনাগ আসন ভেঙে গড়া হয়েছে অনন্তনাগ-রজৌরি। পুরনো অনন্তনাগ লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রে রাজৌরি এবং পুঞ্চের কিছু এলাকা মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল জম্মু লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজৌরি এবং পুঞ্চে হিন্দু জনসংখ্যা বেশি। যেখানে বিজেপি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, কাশ্মীর উপত্যকার অন্তর্গত অংশে ফারুক আবদুল্লা-ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিডিপির শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে মিয়াঁ আলতাফ এবং পিডিপির তরফে মেহবুবা এ বার ওই আসনে প্রার্থী। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি আসন— শ্রীনগর, বারামুলা এবং অনন্তনাগে জিতেছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। বিজেপি জম্মু এবং উধমপুরের পাশাপাশি লাদাখে জয়ী হয়।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন গুলাম নবি। রাজ্যসভায় তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সভায় কেঁদে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। পরবর্তী কালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে নতুন দল গড়েন। এ বারর লোকসভা ভোটে কাশ্মীর উপত্যকায় ‘বিজেপি-পন্থী’ পরিচিত জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি এবং একদা বিজেপির সহযোগী সাজ্জাদ লোনের দল পিপলস কনফারেন্সের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন আজ়াদ।