মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাল কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের দিল্লির বাড়িতে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতাদের ঘরোয়া বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শনিবার লোকসভা ভোটপর্ব শেষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নেবেন ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলির প্রতিনিধিরা। কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির মিডিয়া সংক্রান্ত শাখার ভারপ্রাপ্ত পদাধিকারী পবন খেড়া এ কথা জানিয়েছেন।
খড়্গের বাড়িতে শনিবারের বৈঠকে কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী, রাহুল, প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি এনসিপি (শরদ) সভাপতি শরদ পওয়ার, আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, আরজেডির তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, জেএমএম নেত্রী কল্পনা সোরেনের মতো জোটের প্রথম সারির নেতানেত্রীরা হাজির ছিলেন। ডিএমকের তরফে ছিলেন টিআর বালু। কিন্তু তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে যাননি।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটে আসন জয়ের বিষয়ে কোন দলের কাছে কী ‘তথ্য’ রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। সেই সঙ্গে আলোচ্য বিষয় ছিল ৪ জুনের ভোটগণনার দিনের প্রস্তুতি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খড়্গে বলেন, ‘‘জোটের সব নেতার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তা থেকে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি ‘ইন্ডিয়া’ কম করে ২৯৫টি আসনে জিতবে। এর চেয়ে কম হবে না, বরং বেশিই হবে।’’ ভোটগণনা নিয়ে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে রবিবার ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার পবনই জানিয়েছিলেন, কোনও টিভি চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নেবেন না তাঁদের দলের প্রতিনিধিরা। এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘বুথফেরত সমীক্ষায় অংশ না নেওয়ার কারণ সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য— ভোটদাতারা তাঁদের ভোট দিয়েছেন এবং তাঁদের রায় নিশ্চিত হয়েছে। গণনার ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন। তার আগে, আমরা টিভি চ্যানেলের টিআরপির জন্য জল্পনা-কল্পনা এবং দ্বৈরথে লিপ্ত হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। তাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে কোনও বিতর্কে অংশ নেবে না।’’
কিন্তু খড়্গের বাড়িতে বৈঠক শেষের পরেই সুর বদলে তাঁর এক্স পোস্ট— ‘‘বুথফেরত সমীক্ষায় অংশ নেওয়ার পক্ষে এবং বিপক্ষে কারণগুলি বিবেচনা করার পরে, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র দল আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে এগ্জিট পোল বিতর্কে অংশ নেবে।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সাত দফার লোকসভা ভোটপর্বের আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এনডিএর জয়ের হ্যাটট্রিকের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষাতেও তেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হতে পারে, সেই আশঙ্কায় বিতর্ক এড়াতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কিন্তু শনিবারের বৈঠকে অধিকাংশ সহযোগী দল সেই প্রস্তাব মানতে চায়নি। সাম্প্রতিক কালে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দেশের বেশ কিছু টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ ও জনমত প্রকাশের অভিযোগ তুলেছে। এমনকি, সঞ্চালকদের একাংশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র তরফে। গত বছর সেপ্টেম্বরে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ১৪ জন টেলিভিশন সঞ্চালককে ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সে সময় খেড়া বলেছিলেন, “প্রতি সন্ধ্যায় ওই সঞ্চালকেরা ঘৃণার দোকান খুলে বসেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy