Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

মোদী নিজে আম্পায়ার ঠিক করছেন! কটাক্ষ রাহুলের, বললেন, ‘ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া ৪০০ পার করা অসম্ভব’

রাহুল গান্ধীর দাবি, স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট হলে ৪০০ তো দূরস্ত, ১৮০টির বেশি আসন পেতেও বেগ পেতে হবে বিজেপিকে। কিন্তু ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হলে অন্য কথা। তুলনা টানলেন ক্রিকেট এবং ভোটের।

Rahul Gandhi and Narendra Modi

রাহুল গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩৮
Share: Save:

ঠিকঠাক ভোটগ্রহণ হলে বিজেপি ১৮০টির বেশি আসনও পাবে না। রবিবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির ‘৪০০ পার’ স্লোগানের কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া ৪০০ পার করা অসম্ভব।’’

রবিবার কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সেখানে আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘ইভিএম ছাড়া, ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া, সমাজমাধ্যম ছাড়া এবং গণমাধ্যমের উপর চাপ সৃষ্টি ছাড়া বিজেপির পক্ষে ১৮০টির বেশি আসন জেতা অসম্ভব।’’ কী ভাবে ভোটে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘এখন আইপিএল চলছে। যখন আম্পায়ারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, খেলোয়াড়দের কিনে নেওয়া হয় এবং অধিনায়ককে হুমকি দেওয়া হয় ম্যাচ জেতার জন্য, সেটা ক্রিকেটে ফিক্সিং। সামনেই আমাদের লোকসভা ভোট আছে। সেখানে আম্পায়ারদের নিজেই বেছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমাদের দুই খেলোয়াড়কে খেলার আগেই গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে।’’ এখানেই শেষ নয়। রাহুলের দাবি, বেছে বেছে কংগ্রেস নেতাদের হেনস্থার চেষ্টা করছে বিজেপি। তার উপর ভোটের আগে কংগ্রেসের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের ভোটের প্রচার করতে হবে। রাজ্যে রাজ্যে কর্মীদের পাঠাতে হবে। পোস্টার তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমাদের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা কী রকমের নির্বাচন?’’

রাহুলের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ মন্তব্যের ব্যাখ্যায় কংগ্রেস বলছে, প্রধানমন্ত্রী এবং তিন-চার জন ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গরিব মানুষের থেকে দেশের গণতন্ত্র হরণ করে নিচ্ছেন। রাহুলের দাবি, আর পাঁচটা ভোটের মতো এ বারের লোকসভা ভোট ‘সাধারণ’ নয়। মানুষ যদি বিজেপিকে না-আটকায় তবে সংবিধান ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

রবিবার ‘ইন্ডিয়া’র মঞ্চে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়াল, পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বহাল ঠাকরে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। এ ছাড়া, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে সভায় বক্তৃতা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy