সুনীতা কেজরীওয়াল (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র
স্বামীর গ্রেফতারির পর একাধিক বার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রবিবার প্রথম বারের জন্য রাজনৈতিক মঞ্চেও দেখা গেল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়ালকে। রবিবার কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। দিল্লির রামলীলা ময়দানে হওয়া সেই কর্মসূচি থেকেই ইডি হেফাজতে থাকা স্বামীর হয়ে সওয়াল করতে দেখা গেল সুনীতাকে। দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশে কেজরীওয়ালের ছ’টি ভোট-প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে সুনীতা বলেন, “আপনাদের অরবিন্দ কেজরীওয়াল জেল থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠি পড়ার আগে আমি আপনাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই।” তার পরই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে কেজরীওয়াল-পত্নী প্রশ্ন তোলেন, কেজরীওয়ালকে জেলে ভরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক কাজ করেছেন কি না। কেজরীওয়াল এক জন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং সৎ ব্যক্তি কি না, বিজেপির দাবি মোতাবেক তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত কি না, সেই সব প্রশ্নও তোলেন সুনীতা। তার পরই কেজরীওয়াল সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “কেজরীওয়াল এক জন সিংহ। ওরা ওঁকে বেশ দিন জেলে রাখতে পারবে না।”
লোকসভা নির্বাচনে আপের তরফে ছ’টি প্রতিশ্রুতি রেখেছে কেজরীওয়ালের দল। সেগুলি হল সারা দেশে ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ পরিষেবা। দেশের গরিব মানুষদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া। প্রতি গ্রামে এবং তল্লাটে সরকারি স্কুল এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মোতাবেক কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য দেওয়া এবং দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া। ছ’টি প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে সুনীতা বলেন, “গত ৭৫ বছর ধরে দিল্লির মানুষের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ক্ষমতায় এলে আমরা দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেব।” প্রসঙ্গত, দিল্লিতে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলেও, এটি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তাই অন্য অঙ্গরাজ্যগুলির সরকারের মতো ক্ষমতা কিংবা প্রভাব দিল্লির সরকারের থাকে না।
রবিবারের সভার বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ ছবি ধরা দিয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে সভায় বক্তব্য রাখেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy