ধুবুলিয়ায় সভাস্থলে মহুয়া মৈত্র। ছবি: ফেসবুক।
কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে মহুয়া মৈত্রকে দ্বিতীয় বার প্রার্থী করার পরেও ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছে তাঁকে। কলকাতার বাসভবনেও হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। ভোটের আগে কি গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন? রবিবার ধুবুলিয়ায় সভা শেষে এই প্রশ্নের জবাবে মহুয়া বললেন, ‘‘গ্রেফতার করলে সেটা হবে আমার ‘ব্যাজ অফ অনার।’’’
রবিবার মহুয়ার সমর্থনে নদিয়ার ধুবুলিয়ায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দলের প্রার্থী এবং নেতাদের বলে দেন, ইডি-সিবিআই তলব করলে তাদের যেন জানিয়ে দেন যে ভোটের পর দেখা করবেন। মমতার দাবি, ভোটের সময় এ সব করা যায় না। পাশাপাশি, সংসদ থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। তৃণমূলনেত্রীর কথায়, ‘‘আপনারা জেতানোর পরেও ওকে (মহুয়াকে) লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ও জোরে জোরে কথা বলত। ওকে জেতালে ও যোগ্য জবাব দিতে পারবে। বিজেপির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে পারবে।’’
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেও গত শনিবার মহুয়ার তিনটি ঠিকানা— কলকাতা কৃষ্ণনগর ও করিমপুরে একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। আবার ইডি। বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল গত ২৮ মার্চ। যদিও ইডির ডাকে সাড়া না দিয়ে নিজের কেন্দ্রে প্রচারে ব্যস্ত থেকেছেন মহুয়া। এই প্রেক্ষাপটে ভোটের আগে তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন কি না, প্রশ্নের জবাবে মহুয়া জানান, যদি এমনটা হয় তবে সেটা হবে তাঁর জন্য ‘ব্যাজ অফ অনার।’ তিনি বলেন, ‘‘যখন আমাকে লোকে বলেছিল যে আপনি ‘এক্সপেল’ (সংসদ থেকে) হবেন, তখনই বলেছিলাম এই সরকারের আমলে ‘এক্সপেল’ হওয়া ‘ব্যাজ অফ অনার।’ যদি আজ এই ফ্যাসিবাদী সরকার, মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠ হয়ে জেলে যেতে হয় তা হলে সেটাও আমি ‘ব্যাজ অফ অনার’ বলেই মনে করব।’’ পাশাপাশি, কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে বিজেপির খোঁচার পাল্টা মন্তব্য করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটে এই আসনে ওদের নাক ঘষে দিয়েছিলাম। এ বারও নাক ঘষে দেব।’’
ইডির তলব নিয়ে মহুয়ার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি যদি মনে করে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যদি তাঁর (মহুয়ার) বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় তবে নিশ্চয়ই ওঁকে প্রয়োজনীয় সম্মানই দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy