বর্ধমান লাগোয়া নানা গ্রামে বিজেপির দিলীপ ঘোষের প্রচার। ছবি: উদিত সিংহ।
প্রতিদিনের মতোই প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। দলের দেওয়াল লিখন দেখতে না পেয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। সঙ্গে থাকা নেতা তৃণমূলের উপরে দায় চাপালে তাঁর প্রতিক্রিয়া, এ সব ‘অজুহাত আসলে ফাঁকিবাজি’।
শুক্রবার কানাইনাটশালের কাছে গিয়েছিলেন দিলীপ। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। দিলীপ বলেন, ‘‘একটা ঝান্ডা নেই, একটা দেওয়াল লিখন নেই, ওই রাস্তা দিয়ে এলাম একটাও নেই। এলাকায় যে বুথ আছে, ওয়ার্ড আছে তাদের বলুন। বড় রাস্তার জায়গাটা কিচ্ছু নেই। টিএমসির লোকেরা খুলে ফেলে দিচ্ছে, আপনারা কি করছেন? অজুহাত দেখালে ওরা রাজনীতি কিছু বোঝে না, ও সব ফাঁকিবাজ।’’ যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, দলের আসল চেহারা সামনে আসতেই মেজাজ হারাচ্ছেন উনি।
এ দিন শুকুর গ্রামে শিব মন্দিরে যান তিনি। পুজো দিয়ে বেরিয়ে জড়ো হওয়া মানুষজনকে বলেন, ‘‘গরম পড়ছে। এই সময় শরীর সুস্থ রাখুন। ঠান্ডা জল খাবেন না। ফ্রিজের জল বাচ্চাদের খেতে দেবেন না। আমের শরবত খান। লেবুর শরবত খান। শরীর ঠান্ডা রাখুন।’’ আগের দিনই তৃণমূলের কর্মসূচিতে গিয়ে শরবত খেয়েছিলেন তিনি। এ দিন সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওরা ভালবেসে আমাকে খাইয়েছে। চিনি খাই না কিন্তু ওদের ভালবাসাটা খেয়েছি।’’ তার পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘ওরা আমার গাড়ি ভাঙত, কালো পতাকা দেখাত, তারাই এখন শরবত খাওয়াচ্ছে। বুঝতেই পারছেন পরিবর্তন হচ্ছে। এই বদলটা হওয়া উচিত, এটা ভাল।’’
এ দিন বিকালে কুড়মুনের গাজনে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। বাঘাড় ২ এলাকায় রাম মন্দিরের ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার বিলি করেন। তৃণমূলের রাজ্য মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘সংগঠন নেই, কর্মী নেই। আর দিলীপ ঘোষ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন। এখন ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যেতেই মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি।’’
ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ সকাল-বিকেল বর্ধমান শহরে প্রচার করেন। বৈঠক করেন অবাঙালিদের সঙ্গেও। কীর্তি বলেন, ‘‘ওঁর (দিলীপ) সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। যিনি মহিলাদের সম্মান করেন না, তাঁর জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy