মিচেল জনসনের বাউন্সার বিরাট কোহলির হেলমেটে লাগাই কি অ্যাডিলেড টেস্টের সব চেয়ে বড় বিজ্ঞাপন? না কি সেই বাউন্সারকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ করে পাল্টা মারে করা তরুণ দিল্লিবাসীর দাপুটে শতরান? না কি সেই বাউন্সারে পরাস্ত হয়ে জনসনের বলেই তাঁর ফিরে যাওয়া?
জনসনের বলে মুরলি বিজয় আউট হতে মাঠে প্রবেশ বিরাটের। ভারতের সামনে তখনও ফলো অনের আতঙ্ক। ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যার্থতার পাশাপাশি বিরাটের উপর বাড়তি চাপ ছিল প্রথম বারের টেস্ট অধিনায়কত্ব। তা-ও আবার বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির মতো হাই ভোল্টেজ সিরিজে। আর এই জোড়া চাপের সামনেই বেরিয়ে এল ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়কের অন্যতম সেরা পারফর্ম্যান্স। জনসন-সিডল-লিয়ঁ— কাউকেই ভয়ঙ্কর মনে হয়নি তাঁর কাছে। মিচেল মার্সের বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি করে কোহলির পরিচিত হুঙ্কার মনে করাল স্টিভ বাহিনীর বিরুদ্ধে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০০৩-এর অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টে শতরানের কথা। সামনে থেকে আগ্রাসি নেতৃত্ব দিয়ে সে বার দুর্ধর্ষ অজি বাহিনীকে তাদের ঘরের মাঠেই আটকে দিয়েছিল ভারত। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে কোহলি ছুঁলেন তিন ভারতীয় গ্রেটকে— সুনীল গাওস্কর, দিলীপ বেঙ্গসরকর ও বিজয় হাজারে। দিনের একেবারে শেষে তিনি যথন আউট হলেন, অজিদের প্রথম ইনিংসের বিশাল স্কোর থেকে শ’দেড়েক রান দুরে ভারত।
অ্যাডিলেডে এ দিন যথেষ্ট ভাল ব্যাট করল ভারতীয় টপ অর্ডার। চেতেশ্বর পূজারা, মুরলি বিজয়, অজিঙ্ক রাহানে— হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিন জনই। দিনের শেষে রোহিত শর্মার সঙ্গে অপরাজিত ঋদ্ধিমান। ক্রিজে ঋদ্ধিকেও বাউন্সার দিয়েই স্বাগত জানালেন জনসন। হিউজ পরবর্তী টেস্ট ক্রিকেটে বাউন্সারকে বাঁচিয়ে রেখে সতীর্থকে বোধহয় সব থেকে বড় সম্মান দিলেন জনসনই।
ছবি: গেটি ইমেজেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy